শুরু থেকে বরিশাল বিভাগের অন্যান্য জেলার তুলনায় ভোলায় করোনার প্রভাব বিস্তার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহে বাড়তে শুরু করেছে। ২৪ ঘণ্টায় ২৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এক দিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড ১৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৭৫ শতাংশ। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৮ জন ভর্তিসহ বর্তমানে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছে ৫৮ জন।
এদিকে করোনা রোগীদের সেবা নিশ্চিতে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ১০০ শয্যা আইসোলেশন ইউনিটকে বাড়িতে ২০০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি জরুরি অক্সিজেন সেবাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত জেলার সাত উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে চলতি জুলাই মাসেই আক্রান্ত হন ১ হাজার ৩৪০ জন। আর গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২৫ জন। এর মধ্যে ২৫ জুলাই ১০২ জন, ২৬ জুলাই ১৩৭ জন, ২৭ জুলাই ১২০ জন এবং ২৮ জুলাই ১৭৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। বুধবার সকাল থেকে ১১টা পর্যন্ত ১৯০ জনের নমুনা সংগ্রহের জন্য রেজিস্ট্রেশন জমা নেয়া হয়েছে। আরো অন্ততঃ অর্ধশতাধিক রোগী নমুনা দিতে না পেরে ফিরে গেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভোলার পিসিআর ল্যাবে দিনে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে। এর বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হলে তার রিপোর্ট একদিন পরে দিতে হয়।
এ পরিস্থিতিতে সদর জেনারেল হাসপাতালের ১০০ শয্যা করোনা আইসোলেশন ইউনিটকে বাড়িয়ে ২০০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা: মোঃ সিরাজ উদ্দিন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, হাসপাতালের নতুন ভবনের ৪র্থ ও ৫ম তলায় নতুন ১০০ শয্যার অক্সিজেন সংযোগ লাইনের কাজ চলছে। অক্সিজেন লাইনের কাজ সম্পন্ন হলে খুব শীগ্রই নতুন ১০০ শয্যা আইসোলেশন ইউনিট চালু করা সম্ভব হবে।
এছাড়া অন্যান্য ৬ উপজেলায় আইসোলেশন ইউনিট গুলোতে ১০টি করে শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।