শঙ্কার চেয়ে অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব কম শঙ্কার চেয়ে অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব কম – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

শঙ্কার চেয়ে অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব কম

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১
  • ১৮০ পাঠক

করোনা প্রাদুর্ভাবের পর যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়েনি। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছর তার আগের অর্থবছর থেকে বেড়েছে রপ্তানি, আমদানিও বেড়েছে অনেক খাতে। আমদানি-রপ্তানির এ অবস্থা অর্থনীতির সচলতারই সংকেত দেয়। সে সঙ্গে প্রবাসী আয় বাড়ায় রিজার্ভ রয়েছে স্বাস্থ্যকর অবস্থায়।

তবে সাংহাই কিংবা সিঙ্গাপুর বন্দরের মতো বিশ্বের বাণিজ্যিক বন্দরগুলোতে জাহাজ জট লাগলেও চট্টগ্রাম উল্টো অবস্থানে। এটা একদিকে বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য স্বস্তির হলেও অর্থনীতির জন্য চিন্তার কারণ রয়েছে। কারণ আমদানি-রপ্তানি বেশি হলেই জট থাকে বড় বন্দরগুলোতে। তারপরও করোনা অর্থনীতিতে যে আঘাত ফেলেছে, তা দ্রুতই কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ করে ব্যাংক সেক্টরে যে অনিয়ম-দুর্নীতির জাল বিস্তার হয়েছিল, তা অনেকটাই কেটে যাচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রী মনে করেন।
করোনাকালে ফল ও ওষুধ আমদানি বৃদ্ধি : বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে আমদানি বেড়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। আর পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার বেড়েছে সাড়ে ১৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে দেশে ৫ হাজার ৭২৫ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ৫ হাজার ৩২৫ কোটি টাকার পণ্য। তবে এ সময়ে হয়েছিল মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি।
বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে আমদানি ঋণপত্র সম্পর্কে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে চাল আমদানিতে ৪৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তাজা ও শুকনা ফল আমদানি ৩৯ শতাংশ ও ভোজ্যতেল (ক্রুড অয়েল) আমদানি ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। ওষুধের কাঁচামাল আমদানি প্রায় ২৩ শতাংশ ও পুরনো জাহাজ আমদানি ৩৬ শতাংশ বেড়েছে। ওষুধ আমদানি বেড়েছে ২৬ শতাংশ।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরে তেমন চাল আমদানি হয়নি। তবে গত অর্থবছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার চাল আমদানি হয়েছে। এ কারণে বড় প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে। আর অনেক মানুষ অসুস্থ হওয়ার কারণে ওষুধের কাঁচামাল, ওষুধ ও ফলের আমদানি বেড়েছে।
গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় টেক্সটাইলের কাপড় ও পোশাক কারখানার সরঞ্জাম। পুরো অর্থবছরে ৭৮০ কোটি ডলারের এসব পণ্য আমদানি হয়েছে। তবে তা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২ দশমিক ৮১ শতাংশ কম। অবশ্য গত অর্থবছরে সুতা আমদানি বেড়েছে। পুরো অর্থবছরে আসে ২৩১ কোটি ডলারের সুতা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ১০ শতাংশ বেশি। আর কেমিক্যাল পণ্য আমদানি হয় ৩০৪ কোটি ডলারের, এর মধ্যে কৃষি খাতের সার ১৪৬ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরে ওষুধের কাঁচামাল আমদানি হয় ১০৬ কোটি ডলার ও ওষুধ আমদানি হয় ১৪ কোটি ডলারের।
এদিকে আমদানিতে তেমন গতি না থাকলেও প্রবাসী আয়ে প্রায় ২০ শতাংশ ও রপ্তানি খাতে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের আশপাশে।
জটে বিশ্বের বহু বন্দর, ফাঁকা চট্টগ্রাম : সাময়িক জাহাজজটমুক্ত হওয়ায় স্বস্তি চট্টগ্রাম বন্দরে। তবে পণ্য পরিবহন কমে গেলে অর্থনীতির জন্য অস্বস্তির হবে।
চীন, ভিয়েতনাম, ইউরোপ, যুক্তরাজ্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের বহু বন্দরে কনটেইনার জাহাজের জট লেগে আছে অনেক দিন ধরে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া নানা পদক্ষেপ এবং পণ্য পরিবহনের চাপে এই জট তৈরি হয়েছে। শিগগির জটমুক্ত হওয়ার আভাস মিলছে না। এ তালিকায় গত মাসেও ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের নাম। তবে এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কনটেইনার জাহাজের জটমুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। জট না থাকায় ১০ দিন ধরে দিনে দিনে পণ্যবাহী কনটেইনার জাহাজ জেটিতে ভেড়ানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, কনটেইনারবাহী জাহাজের চাপ সামলাতে নানা পদক্ষেপে মূলত জট কমে গেছে। ডিপোতে যেমন রপ্তানি পণ্যের জট নেই, বন্দরেও তেমনি কনটেইনার ৪০ হাজারের নিচে নেমেছে। আবার অপেক্ষা না করেই জাহাজ সরাসরি জেটিতে ভেড়ানো হচ্ছে। সমস্যা শনাক্ত করে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ায় এ সুফল মিলেছে।
কনটেইনার জাহাজের জটে বারবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হওয়া চট্টগ্রাম বন্দরে জট না থাকায় আপাতত স্বস্তি বন্দর কর্মকর্তাদের। বন্দরের হিসাবে, এ সময়ে কনটেইনারে পণ্য আমদানি কিছুটা কমেছে। আমদানি পণ্য পরিবহন কমে যাওয়ার কারণে কনটেইনার জাহাজের জট কমে গেলে তা হবে অর্থনীতির জন্য অস্বস্তির। কারণ, এই একটিমাত্র বন্দর দিয়ে দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনারের ৯৮ শতাংশ আনা-নেওয়া হয়। এই বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহন কমে যাওয়া মানে দেশে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কমে যাওয়া।
দেশের অর্থনীতি ভালো হবে বলে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী : দেশের অর্থনীতি যখন ভালো হবে, শেয়ারবাজারের অবস্থাও চাঙ্গা থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ব্যাংক খাত বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন প্রাইভেট সেক্টরের ব্যাংকগুলো আগে কী অবস্থা ছিল? এ বছর তাদের ব্যালেন্স শিট দেখলে খুব হেলদি ব্যালেন্সশিট দেখতে পাবেন। মোস্ট লার্জলি, বেশির ভাগ ব্যাংকেরই ব্যালেন্সশিট ভালো। প্রফিট না থাকলে তো ডিভিডেন্ট দিতে পারবে না। আগে আপনারা সব সময় বলতেন যে ব্যাংকগুলো ডিভিডেন্ট দেয় না। নানাভাবে তারা ডিভিডেন্ট এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন ব্যাংক সেক্টর একটি ভালো অবস্থানে আসছে। আগে সরকারি ব্যাংকগুলো সরকার থেকে টাকা নিয়ে রিফাইন্যান্সিং করে চলতো। গত দু-তিন বছর থেকে কাজটি আর নেই, পরিবর্তন হয়েছে। এখন রিফান্ডিং করার কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকারি ব্যাংকগুলোকে সুস্পষ্টভাবে আমরা বলে দিয়েছি, আপনাদের অর্থ অর্জন করতে হবে। আয় করতে হবে, আয় করে ব্যয় করতে হবে। সেটিও তারা করে যাচ্ছে। সুতরাং সরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংক সবাই একটু ভালো অবস্থানে আছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মতো ইনফ্লেশন রেট খুব কম দেশে পাওয়া যাবে। বিশ্বের কোথাও কোনো ব্যাংকে টাকা রাখলে ইন্টারেস্ট পাওয়া যায় না বরং টাকা রাখলে ইন্টারেস্ট দিতে হয়। এজন্য এটা আমাদের দেশের লোকজন যারা বিদেশে আছেন, তারা অফিসিয়াল ব্যবসা করলে বিদেশে টাকা রেখে কিছু পান না। তাদের টাকাও এখন দেশে নিয়ে আসেন। দেশে টাকা এনে বিনিয়োগ করে তারা লাভবান হতে পারেন।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD