কৃষিতে করোনার ঘা, ঋণ আদায়-বিতরণ কমেছে কৃষিতে করোনার ঘা, ঋণ আদায়-বিতরণ কমেছে – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

কৃষিতে করোনার ঘা, ঋণ আদায়-বিতরণ কমেছে

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১
  • ১৭২ পাঠক

বছরের অধিক সময় ধরে করোনা মহামারি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি সবকিছু বিপর্যস্ত করেছে। করোনার আক্রমণ থেকে কৃষিও রক্ষা পায়নি। যে কোনোভাবেই হোক কৃষি সচল রাখতে সরকার উদ্যোগ নেয়, ঘোষণা করে প্রণোদনা। যা কার্যকরও হয়।

সে অনুযায়ী নতুন ঋণ গ্রহণ ও মেয়াদ শেষ হওয়া ঋণ ফেরত আসার কথা। বাস্তবে তার ফলও মিলেছে, ফেরত এসেছে আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি ঋণ। তবে চলতি নতুন বছরে পল্লী অঞ্চলে করোনা নতুন করে আক্রান্ত-মৃত্যু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় কৃষি ঋণ আদায় ও বিতরণে নেতিবাচক প্রবণতা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষি ঋণে নেতিবাচক এ প্রবণতা প্রলম্বিত হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে আদায় হয়েছে ২৭ হাজার ১২৩ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৫৯ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। আগের অর্থবছরে আদায় হয়েছিল ২১ হাজার ২৪৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৪৬ দশমিক ৬০ ভাগ। আদায় বেড়েছে ৮৭৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ঋণ আদায়ের ফলে আদায়যোগ্য ঋণের পরিমাণও কমেছে।
২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আদায়যোগ্য ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে শুরুতে আদায়যোগ্য ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৬০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কিন্তু চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাসে আদায় ও বিতরণ দুই গত বছরের চেয়ে কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যে বেশ কিছু প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। আর বিতরণের ফলে ঋণের সঠিক ব্যবহার শেষে পুরনো মেয়াদ শেষ হওয়া ঋণ কৃষকরা ফেরত দিয়েছেন। এ কারণে আদায়যোগ্য ঋণের পরিমাণ কমেছে। আবার উল্টো ঘটনাও ঘটেছে নতুন অর্থবছরে। চলতি ২০২১-২২ অর্ধবছরে প্রথম মাসে এসে আদায় আদায়যোগ্য ঋণ আদায় কমেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য বছরের প্রথম মাস। পরবর্তী মাসগুলোতে আদায় বেড়ে যাবে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ হাজার ২৭৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ১ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭১ হাজার টাকা। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৫৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকা আদায় কমেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পশুপালন, কৃষিপণ্য বাজারজাত ও পল্লী দারিদ্র্যদূরীকরণ কার্যক্রমে করোনার আঘাত করেছে। কোরবানির ঈদে গবাদিপশু কম বিক্রি হয়েছে। মানুষ পশু পালনের পিছনে যে বিনিয়োগ করেছিলেন তা উঠে আসেনি। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ কারণে খামারিরা ভালো ছিলেন না। কোরবানির ঈদের আগে কঠোর লকডাউনের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। কৃষক পশু হাটে যাতে তুলতে পারেন সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। ঈদ সামনে করে লকডাউন শিথিল করেছে।
এবার করোনার মহামারিটা মূলত গ্রামকেন্দ্রিক ছিল। এ কারণে কৃষিতে ঘা লেগেছে। এ ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা আরও কিছুটা সময় থাকবে। গত তিন মাস ধরে করোনায় যেভাবে মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে তা গ্রামের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে নেতিবাচক ধারা সূচিত হয়েছে। ফসল উৎপাদনের বাইরে পশুপালন, অর্থকরী ফসল উৎপাদনে মনোযোগ দিতে পারেনি, আয় রোজগার অনেকটাই কমে গেছে। তবে এই ঘা পুরোপুরি কমতে আরও খানিক সময় লাগবে, ততদিন আদায়ে নেতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
চলতি অর্থবছরে কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করবে ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা। আর দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করবে ১৭ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। প্রথম মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ বা ৯৪২ কোটি টাকা বিতরণ করেছে।
গতবছরের একই সময়ে বিতরণ করা হয়েছিল এক হাজার ৫০৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বা লক্ষ্যের ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। করোনার ভয়াবহ আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার কারণে পল্লী অঞ্চলের কৃষক-উদ্যোক্তারা কাজে বের না হওয়ার কারণে ঋণও নিতে পারেননি। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে প্রাণঘাতী করোনা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD