সভাপতি-সম্পাদক হয়, কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয় না সভাপতি-সম্পাদক হয়, কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয় না – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

সভাপতি-সম্পাদক হয়, কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয় না

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১
  • ১৫৭ পাঠক

করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ভার্চুয়াল কিছু আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তারা। যে কারণে মাঠের রাজনীতিতে অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে।

ব্যতিক্রম নয় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগও। নগরীর দুই কমিটির সাংগঠনিক কোনো তৎপরতা চোখে পড়ে না। ঢাকার শাখা কমিটিগুলোও দুর্বল হচ্ছে। সংগঠন থানা, ওয়ার্ড এবং ইউনিট কমিটিগুলো গোছাতে পারছেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। ফলে দিনে দিনে ফুটে উঠছে সাংগঠনিক দুর্বলতা।
তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ শেষ হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ, রমনা ও বংশাল থানার সাংগঠনিক কার্যক্রম একবারেই নিষ্ক্রিয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী নেতারা দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন না। ডেমরা, যাত্রাবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি কমিটির এক যুগের বেশি সময় পার হলেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। এমন কিছু অসঙ্গতি সামনে নিয়ে থানা ও ওয়ার্ডে নতুন কমিটি করতে গেলেও বিপাকে পড়বেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
অধিকাংশ কমিটিতে আবার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পরিবর্তন হলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয় না। আবার কোনো কোনো কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তা স্থগিত করা হয়। এ নিয়েও সাবেকদের নিয়ে রয়েছে নানা সমীকরণ।
ঢাকা মহানগর উত্তরেও একই অবস্থা। গত কমিটির অনেকে নগরে প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে নিষ্ক্রিয় আছেন। সাবেক সভাপতি-সম্পাদকদের অনুসারী নেতারাও আসেন না কর্মসূচিতে।
চলতি বছরের শুরুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঢাকা মহানগর শাখাকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্রের ৩৫ (১) ধারা অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে ইউনিট কমিটি, পরবর্তী তিন মাসে ওয়ার্ড এবং তার পরের তিন মাসে থানা কমিটি গঠন করতে হবে।’ এরপর প্রায় সাত মাস পার হয়েছে, কোনো কমিটিই হয়নি। এ নিয়ে কোনো প্রস্তুতি আছে তা কেউ জানাতে পারেননি।
দীর্ঘ ৯ বছর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর। এর চার বছরের মাথায় ২০১৬ সালে ঢাকা মহানগরকে দুই ভাগ করে কমিটি করে আওয়ামী লীগ। মহানগর উত্তরে সভাপতির দায়িত্ব পান এ কে এম রহমতুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
এছাড়া মহানগর দক্ষিণের সভাপতির দায়িত্ব পান আবুল হাসনাত এবং সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। নগরের নতুন কমিটি সংগঠনকে চাঙ্গা করবেন- এমনটাই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। কিছু থানায় কমিটি দিলেও তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সম্মেলনে আবারও নতুন কমিটি করে দেওয়া হয়। নেতৃত্বে আসেন মহানগর উত্তরে সভাপতি বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি এবং মহানগর দক্ষিণে আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবির। এখন পর্যন্ত কোনো ওয়ার্ড-থানায় কমিটি দিতে পারেননি নেতারা।
ঢাকা মহানগর পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থানা সভাপতি-সম্পাদকদের পদায়ন করায় সে পদগুলো শূন্য হয়ে গেছে, তাও পূরণ করা হয়নি।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ‘কোভিড সংক্রমণের কারণে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। আগস্টে সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। যদি কোভিড সংক্রমণ প্রশমিত হয়, তাহলে সেপ্টেম্বরের এক তারিখ থেকে আমরা সদস্য সংগ্রহ এবং ইউনিট কমিটিগুলো গঠনে চলমান কার্যক্রম শুরু করব।’
তিনি বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থানা ও ওয়ার্ড কমিটি করতে পারিনি। অল্প ক’দিন পরই চলে আসে করোনা। এবারই আমরা প্রথম ইউনিটগুলোকে নগরের তত্ত্বাবধানে তৈরি করছি। আগে ইউনিটগুলোকে সমৃদ্ধ করে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করব। ইতোমধ্যে সদস্যপদ নবায়নের কর্মসূচি তদারকি করতে ২৬টি টিম করেছি। তারা কাজ করছেন।’
শূন্যপদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা মহানগরের কমিটিতে চলে আসছেন, থানায় তাদের পদটি খালি হয়ে গেছে। যেহেতু কোথাও কমিটি নেই, কাউকে ভারপ্রাপ্তও দেওয়া যাচ্ছে না। নতুন কমিটি না হওয়া পর্যন্ত তিনি যথারীতি দায়িত্ব পালন করবেন। তবে দুটো পদ তিনি ব্যবহার ও পরিচয় দিতে পারবেন না।’
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, ‘দেশে করোনা মহামারিতে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে। আমাদের কমিটি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এরই মধ্যে করোনা চলে এসেছে। কেমন করে কাজ করব? মানুষ জীবন ও জীবিকা নিয়ে আগে লড়াই করবে। এ অবস্থায় তো কেউ সাংগঠনিক কাজ করবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব কমিটিই হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দফতর সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ বলেন, ‘এখন তো আগস্ট মাস চলছে, সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মহানগর দক্ষিণের থানা ও ওয়ার্ডের সব ইউনিট কমিটি গঠন করা হবে।’
আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আমরা কমিটি গঠনে অনেক চেষ্টা করছি। কাজও শুরু করেছিলাম। কিন্তু ভাগ্য আমাদের বিরুদ্ধে। যখনই কাজে হাত দিই, তখনই করোনার প্রকোপ বেড়ে যায়। ফলে কাজ স্থগিত করতে হয়। ঢাকা মহানগরে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা কিছুটা আছে। এ হতাশা কাটানোর জন্য আমরা সাংগঠনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি।
তিনি বলেন, সম্মেলনে কমিটি গঠন হবে। কমিটি গঠন করে সভাপতি-সম্পাদকের ওপর পুরো দায়িত্ব ৫-৭ বছর না রেখে, সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হবে। তাতে সবাই পদ পাবে, পরিচয় পাবে। একটা সময় ছিল যে, বায়োডাটা দেখে সভাপতি-সম্পাদক পদে নাম ঘোষণা করা হতো, বাদ বাকি নিচের কমিটি করা হয়নি। যে কারণে ত্যাগী নেতাকর্মীরা পদ-পদবি পাননি।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD