পুরনো টুইট লুকিয়ে ফেলাসহ একাধিক নতুন ফিচার চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার। এছাড়াও যোগ হতে পারে কোনো ফলোয়ারকে ব্লক না করে শুধু রিমুভ করে দেওয়ার ফিচার।
টুইটার নতুন যে ফিচারগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করছে, ব্লুমবার্গ সেগুলোকে আখ্যা দিয়েছে ‘সোশাল প্রাইভেসি স্যুট’ হিসেবে। টুইটার ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরও উপভোগ্য ও স্বনিয়ন্ত্রিত করতে নতুন ফিচারগুলো বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
টুইটারের অভ্যন্তরীণ এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশ এটাই জানেন না যে তাদের অ্যাকাউন্টটি পাবলিক নাকি প্রাইভেট। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ব্যবহারকারীদের এই বিষয়টি রিভিউ করে দেখতে বলবে মাইক্রোব্লগিং সেবাটি।
উল্লিখিত ফিচারগুলো এখনও পরিকল্পনা পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। এগুলো কবে নাগাদ চালু হতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য দেয়নি সংবাদমাধ্যমটি। তবে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ব্যবহারকারীর কনভার্সেশন থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলার ফিচার এবং চলতি মাসেই ফলোয়ারদের ব্লক না করে রিমুভ করে দেওয়ার ফিচার চালু হতে পারে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে ভার্জকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নতুন ফিচার নিয়ে পরিকল্পনার খবর নিশ্চিত করেছে টুইটার। এই প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, টুইটারের কাছে ব্যবহারকারীর ডেটা দিয়ে আমরা কী করবো তার থেকেও বেশি গুরুত্ব পায় গোপনতার প্রশ্ন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আমরা জানি যে গোপনতা প্রশ্নে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য কোনো একক উত্তর নেই। তাই ব্যবহারকারীরা যেনো নিজের টুইটার অভিজ্ঞতার উপর বাড়তি নিয়ন্ত্রণ পান এমন নতুন ফিচার ও টুল চালু করার বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশ উদ্দীপ্ত।
গোপনতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের ভাবনা এবং প্রয়োজনীয়তা বুঝতে আমাদের পরিচালিত একটি বৈশ্বিক গবেষণা থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়া থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা সোশাল গোপনতার দিকে নজর দিচ্ছি। আগামী সপ্তাহেই হয়তো কয়েকটি নতুন ফিচার নিয়ে পরীক্ষা চালানো শুরু করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরে বেশ কয়েকটি বড় পরিবর্তন এনেছে টুইটার। প্রায় এক বছর ধরে ‘অডিও রুম’ ফিচার নিয়ে পরীক্ষার পর অগাস্টের শেষ সপ্তাহে সবার জন্য ফিচারটি উন্মুক্ত করা শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই চালু হয়েছে সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক ‘সুপার ফলোস’ ফিচার।