বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জজ আদালতের পিপি দেলোয়ার হোসেনের দায়ের করা মামলায় আজ মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরিফুল রহমান এ পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের ২১ নেতা–কর্মীসহ গোপালগঞ্জ জজ আদালতের পিপি দেলোয়ার এবং তার বাবা হাসেম সরদারের নাম উল্লেখ করে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে রিজভী তাদের রাজাকার, পাকিস্তানিদের দোসর ও যুদ্ধাপরাধী বলেন।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন। দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৬৯/৪৭১/৫০০/৫০১/৩৪ ধারা উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেন। সিআইডি দীর্ঘ ২ বছর ১ মাস তদন্ত করে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলামের নাম বাদ দেন। অন্য সব ধারা বাদ দিয়ে শুধু দণ্ডবিধির ৫০০ ধারা (মানহানি) রেখে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই তারিখে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরিফুল রহমান রুহুল কবির রিজভী বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সমনের পরেও হাজির না হওয়ায় আজ মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ বিষয়ে মামলার বাদী দেলোয়ার সরদার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমার বয়স ছিল ১০ বছর। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ২১ জন নেতাসহ আমি ও আমার পিতাকে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানিদের দোসর বলে উল্লেখ করেন। ওই সম্মেলন দেওয়া বক্তব্য পত্রিকায় দেখার পর আমি মামলা করেছি। আজ আদালত সেই মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।