বগুড়ার গাবতলীতে চাতাল শ্রমিক ইব্রাহিম হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূলহোতা জাহিদ হাসান মামুন (১৯) এবং গার্মেন্টস কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লগ্ন ভিডিও সংগ্রহ করে ব্লাকমেল করার অভিযোগে মনির হোসেন (২৯)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মামুন শেরপুর উপজেলার ফুলবাড়ী খন্দকারটোলা এলাকার হানিফ সোনারের ছেলে এবং মনির নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙ্গার রিয়াজ উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে।
বুধবার বেলা ১২টায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, চাতাল শ্রমিক ইব্রাহিম তার মামা ছামসুল বারীর বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মীজাপুর এলাকায় চাতালের কাজ করে আসছিলো। এ সময়ের মধ্য ইব্রাহিমের স্থানীয় কিছু যুবকের সাথে বন্ধুত্ব হয়। এইসব বন্ধুর মধ্যে জাহিদ হাসান মামুন চাতাল শ্রমিক ইব্রাহিমকে নতুন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার মামা মোটরসাইকেল নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে বগুড়া শহরের এসে মদ কিনে জেলার গাবতলী মহিষাবান এলাকায় একটি ইট ভাটায় যায়। ওই স্থানে মামুনের পরিচিত আরও কয়েকজন বন্ধু অপেক্ষায় ছিলো। মোটরসাইকেলযোগে সে ইট ভাটায় গিয়ে মামুন ইব্রাহিমকে মদ পান করায়। এরপর মামুন ও তার সহযোগিরা মিলে ধারালো ব্লেড দিয়ে ইব্রাহিমের গলায় আঘাত করে। এতে ইব্রাহিম গুরুত্বর আহত হয়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আহত ইব্রাহিম চিৎকার করে স্থানীয় লোকজন শুনতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ সংবাদ পেয়ে আহত ইব্রাহিমকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এরপর ইব্রাহিম হত্যাকান্ডের মূলহোতা জাহিদ হাসান মামুনকে শহরের নাটাইপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে গাবতলী থানা পুলিশ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মামুনকে বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। ইব্রাহিম হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় ধরে এক গামেন্টস কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে লগ্ন ভিড়িও সংগ্রহ করে এবং অর্থ দাবি করে ব্লাকমেইল করার অভিযোগে গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে মনির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সাইবার ক্রাইম পুলিশ।
এ সময় মনির নিকট থেকে একটি মোবাইল ও চারটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।