বাংলাদেশ ও ভারতের বেনাপোল- পেট্রাপোল সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় উদ্বোধন করা হয়েছে নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল।
দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য শুক্রবার দুপুরে টার্মিনালের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মোহাম্মদ চৌধুরী ও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যনন্দ রায়।
ভারতের ল্যান্ডপোর্ট চেয়ারম্যান আদিত্যমিশ্র চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামানিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন বিক্রম দোরাইস্বামী, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহম্মদ আলমগীর হোসেন, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান, পুলিশের নাভারন সার্কেলের এএ্সপি জুয়েল ইমরান, ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন ও বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন।
এক হাজার ৩০৫ একর জমির ওপর নির্মিত সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই নতুন টার্মিনালে ৩২টি প্যাসেঞ্জার কাউন্টার চারটি কাস্টম কাউন্টার ও আটটি সিকিউরিটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব রক্ত দিয়ে লেখা, এ সম্পর্ক মুছে ফেলা যাবে না। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত এক লাখ বাংলাদেশিকে আশ্রয় দিয়ে রক্তের সম্পর্ক তৈরি করেছে। বাংলদেশ আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে ভারতকে।
নিত্যনন্দ রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আজ জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে পেট্রাপোলে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বিমানবন্দরের সুবিধা ভোগ করবে যাত্রীরা। বাংলাদেশের সাথে আরও নতুন নতুন বন্দর স্থাপন করে দুই দেশের বাণিজ্য আরও বাড়ানো হবে।
অুনষ্ঠানে বাংলাদেশের অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে সন্মানিত করা হয়। পরে কবি নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার ওপর নৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা।