ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে খাবার হোটেলে ছেলে পরিচয়ে ফেলে রেখে যাওয়া বৃদ্ধার পরিবারের খোঁজ মিলেছে।
বৃদ্ধার নাম জমেনা খাতুন। তিনি যশোরের রুপদিয়া এলাকার মৃত কেরামত আলীর স্ত্রী।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে বৃদ্ধার জ্ঞান ফিরে এলে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীগঞ্জ শহরের শাহী নান্না বিরিয়ানি হাউজে এক বৃদ্ধাকে বসিয়ে রেখে চলে যান ছেলে পরিচয়দানকারী এক যুবক। এরপর আর ফিরে আসেনি সেই যুবক। হোটেলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান বৃদ্ধা মহিলা।
খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার এসআই আলামিন হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স এসে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কালীগঞ্জ থানার এসআই আলামিন হোসেন জানান, বৃদ্ধাকে উদ্ধারের সময় তিনি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। কোনভাবেই সম্ভব হয়নি তার পরিচয় জানার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসার পর তার জ্ঞান ফিরে এলে তিনি কথা বলতে পারেন।
বৃদ্ধার বরাদ দিয়ে এসআই আলামিন জানান, তিনি গান্না ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকায় যাচ্ছিলেন বেয়াই বাড়ি। পথিমধ্যে শহরের নিমতলা এলাকায় এক যুবক তাকে অনুসরণ করেন। এসময় বৃদ্ধার সাথে ওই যুবকের কথাও হয়। বৃদ্ধাকে মিষ্টি কিনে দেওয়ার জন্য নিয়ে যান শাহী নান্না বিরিয়ানি হাউজে। বৃদ্ধার কাছে এক হাজার ৬০০ টাকা ছিল।
এ সময় এক হাজার টাকা নিয়ে পানের সাথে চেতনানাশক কিছু খাওয়ায় দিয়ে ওই যুবক পালিয়ে যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তার জ্ঞান ফিরে এলে তার ছেলে সাহেব আলী ও বেয়াই আব্দুল শাহের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।