দেহে কোলেস্টেরল দু’ধরনের হয়। ভালো কোলেস্টেরল যা কোষের গঠনে একান্ত প্রয়োজনীয়। শরীরে একাধিক হরমোনের সৃষ্টির জন্যও শরীরে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) প্রয়োজন। অপরদিকে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা বেড়ে গেলে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। খারাপ কোলস্টেরলের জন্য স্ট্রোকের ঝুঁকি ও হৃদরোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তবে তা এড়াতে পারেন খুব সহজেই। কীভাবে? উত্তর লুকিয়ে রয়েছে আপনার হেঁশেলেই। জেনে নিন।
পরিশোধিত নয়, পুরো শস্যে আস্থা ফেরান
চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত প্যাকেটজাত পরিশোধিত চকচকে চাল, আটা, ময়দা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। কারণ পরিশোধনের ফলে সেগুলি থেকে সমস্ত পুষ্টিগুণ হারিয়ে যায়। এমনকী ফাইবারও নষ্ট হয়ে যায়। তার বদলে পুরো শস্য খেতে পরামর্শ চিকিৎসকদের। তাতে সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ মেলে। উচ্চ কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে প্রতিদিনের ডায়েটে ওটস্ রাখা বাধ্যতামূলক। বাজারের প্যাকেটজাত ধবধবে ময়দা এড়াতে ডালিয়াও খেতে পারেন।
খারাপ কোলস্টেরল কমাতে উপকারী ডাল
ভালো কোলেস্টেরল বজায় রাখতে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে হবে ডাল। হার্টের জন্য তো বটেই, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও উপকারী ডাল। তবে এক্ষেত্রেও প্যাকেটজাত চকচকে ডালের থেকে খুচরো বাজার থেকে বাইরের কোটিং সমেত ডাল খেলেই ভালো।
সবুজ শাকসবজি মাস্ট
ডায়েটে বেশি করে সবুজ শাকসবজি যোগ করতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, খাবারের আগে স্যালাড নিলে বেশি শাকসবজি খাওয়া যায়। স্যালাডে রাজমা, ছোলা রাখা যেতে পারে। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স ও বেগুনের জুড়ি মেলা ভার। যদিও রান্নায় বেশি তেল না ব্যবহার করারই পরামর্শ চিকিৎসকদের।
ফলই হোক বন্ধু
কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে ফলাহার অতি গুরুত্বপূর্ণ। আপেল এবং জাম এক্ষেত্রে দারুণ উপকারী। প্রতিদিনের ডায়েটে অন্ততপক্ষে একটা ফল রাখা জরুরী। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অর্থাৎ লেবুজাতীয় ফলে থাকা পেকটিন ফাইবার শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়াও ভালো কোলেস্টেরল বজায় রাখতে বিভিন্ন বাদামও উপকারী।