রাজধানীর সবুজবাগে জহির মুন্সী (২৭) নামে এক যুবককে গলা কেটে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জহির মুন্সী (২৭) পেশায় চায়ের দোকান ব্যবসায়ী।
মৃত জহির চাঁদপুর জেলার সদর থানার সাকুয়া গ্রামে মোকলেছ মুন্সির ছেলে। বর্তমানে কদমতলা সি/১৮ হক আবাসিক সোসাইটিতে পরিবারের সাথে থাকতেন।
সত্যতা নিশ্চিত করে সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সবুজবাগের কদমতলা হক আবাসিক সোসাইটি শেষ মাথায় মান্ডার খালপাড় থেকে রাত সাড়ে ১২টায় মৃতদেহটি উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আনা হয়।
তিনি আরও বলেন, রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা ২০ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা জহির মুন্সীকে উপর্যুপরি শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতে হত্যা ফেলে রেখে পালিয়েছে।
মৃতের দুলাভাই আব্দুল মতিন জানাযন, ২ বছর আগে একই বাসায় ভাড়া থাকত নাজমুল নামের এক যুবক। পরে তার অন্য জায়গায় চাকরি হওয়ায় সে বাসা ভাড়ার ৭ হাজার টাকা না দিয়ে চলে যায়। ৩ দিন আগে নাজমুলের সাথে দেখা হয়। সেসময় পাওনা টাকা চাওয়ায় তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় জহির চায়ের দোকান থেকে বের হয়।
পরে সেখান থেকে নাজমুলকে ডেকে নিয়ে জিরানী খালপাড় একটি ভবনের নিচে গলা কেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন নামজমুলকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ সময় তার সাথে থাকা নাজমুলের বোনজামাই আলমগীর পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর আগে জহিরের স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ায় গত ২৭ তারিখে আবার একটি বিবাহ করেন জহির।