দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ ভবিষ্যতে থামাতে পারবে না।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) নবনির্মিত ‘রংপুর বিভাগীয় সদরদপ্তর কমপ্লেক্স ভবন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুরের বিভাগীয় সদর দফতর কমপ্লেক্সের মাল্টিপারপাস হলে সংযুক্ত হন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ এ সরকারে এসে আমরা ২০১০ থেকে ২০২০ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সেটা আমরা বাস্তবায়ন করেছি খুব সফলভাবে। যার ফলে আজকে ২০২১ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি সেই সময়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। জাতিসংঘ সেটা একেবারে সবাই মিলে প্রত্যেকটা দেশই আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে চাই এটা আমাদের লক্ষ্য। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যে ঘোষণাগুলো দিয়েছিলাম আল্লাহর রহমতে একে একে আমরা সবগুলো বাস্তবায়ন করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে সেই পরিকল্পনা আমি করে দিয়েছি। সার্বিক উন্নয়নে আজকের বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
সরকার প্রধান বলেন, আমি জানি এবার শীত পড়েছে। সবাই শীতে একটু কষ্ট পাচ্ছেন। আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছি। যারা বিত্তশালী আছেন তাদেরকে আমরা অনুরোধ করছি যে আপনারাও শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পারেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অঞ্চলে (রংপুর) শিক্ষার হার কম ছিল। কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও লালমনিরহাটে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারো স্পেস ইউনিভার্সিটি করে দিয়েছি। রংপুরে বেগম রোকেয়ার নামের একটা ট্রেনিং সেন্টার করেছি। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়ার নামেই করে দিয়েছি। তিনিই তো প্রথম শিক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে আমরা কিছু লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছি। এই অঞ্চলের প্রত্যেকটা জেলায় মেডিকেল কলেজ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েই কিন্তু রংপুরবাসী এই সব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন সেটা বোধহয় ভুললে চলবে না। আমরা যখন যমুনা সেতু করে দেই সেই সেতুর সঙ্গে রেললাইন করে দিয়েছিলাম। তখন যারা আপত্তি করেছিল রেললাইন নিয়ে তারাই আবার প্রস্তাব দিলো নতুন রেললাইন। সেই নতুন রেললাইনও নির্মাণ হচ্ছে যমুনার ওপর। আপনারা এখন দ্রুত আসা যাওয়া করতে পারবেন। রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব মিয়া বক্তৃতা করেন।