ঢাকা ০৮:৪৫ এএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায় উপকূলবাসী

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ১০:২১:০৭ এএম, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩ ২৩৯ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শক্তি সঞ্চার করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।

তবে দুর্যোগপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (১২ মে) দেখা গেছে, সকাল থেকেই রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি ও কোস্ট গার্ডের বেশ কয়েকটি দল মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ভোলার বিভিন্ন পয়েন্টে এ প্রচারণা চলছে।

এদিকে উপকূলের বাসিন্দারা বলছেন, ঝড়ে তারা নিজেদের রক্ষা করলেও বসত ঘর, ফসলি জমি, গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তারা কিছুতেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না।

ভোলার জেলা প্রশাসন বলছে, ক্ষতি কমিয়ে আনতে তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, জেলার নদী ও সাগর উপকূলে বাস করেন পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। ঝড় এলেই তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে জলোচ্ছ্বাসে আক্রান্ত হন তারা। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে জানলেও রয়েছেন ভয়ের মধ্যে। উপকূল জুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা। এমন পরিস্থিতিতে তাদের দাবি উঁচু বাঁধের।

উপকূলের বাসিন্দা সিরাজ উদ্দিন, বিবি রহিমা ও আকলিমা বেগম বলেন, একটি ঘূর্ণিঝড় আসবে সেটা জেনেছি, আমাদের ভীষণ ভয় হচ্ছে। ঝড়ের সময় মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে গেলেও, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘরবাড়ি। জলোচ্ছ্বাসের কারণে এবারও আমরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারি। আমরা চাই বাঁধগুলো যেন আরও উঁচু হয়।

এদিকে মোখার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে উপকূল ও নদীতে সচেতনতামূলক প্রচারণা করছে রেড ক্রিসেন্ট ও কোস্ট গার্ড।

এ বিষয়ে রেড ক্রিসেন্ট ভোলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা মানুষকে ঝড়টির বিষয়ে সচেতন করছি। সতর্কতা সংকেত বাড়ানো হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।

এদিকে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই-লাহী চৌধূরী। তিনি বলেন, তিন ধাপে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৩ হাজার ৬০০ ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। ক্ষতি কমিয়ে আনতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায় উপকূলবাসী

প্রকাশকাল ১০:২১:০৭ এএম, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

শক্তি সঞ্চার করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।

তবে দুর্যোগপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (১২ মে) দেখা গেছে, সকাল থেকেই রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি ও কোস্ট গার্ডের বেশ কয়েকটি দল মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ভোলার বিভিন্ন পয়েন্টে এ প্রচারণা চলছে।

এদিকে উপকূলের বাসিন্দারা বলছেন, ঝড়ে তারা নিজেদের রক্ষা করলেও বসত ঘর, ফসলি জমি, গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তারা কিছুতেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না।

ভোলার জেলা প্রশাসন বলছে, ক্ষতি কমিয়ে আনতে তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, জেলার নদী ও সাগর উপকূলে বাস করেন পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। ঝড় এলেই তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে জলোচ্ছ্বাসে আক্রান্ত হন তারা। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে জানলেও রয়েছেন ভয়ের মধ্যে। উপকূল জুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা। এমন পরিস্থিতিতে তাদের দাবি উঁচু বাঁধের।

উপকূলের বাসিন্দা সিরাজ উদ্দিন, বিবি রহিমা ও আকলিমা বেগম বলেন, একটি ঘূর্ণিঝড় আসবে সেটা জেনেছি, আমাদের ভীষণ ভয় হচ্ছে। ঝড়ের সময় মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে গেলেও, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘরবাড়ি। জলোচ্ছ্বাসের কারণে এবারও আমরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারি। আমরা চাই বাঁধগুলো যেন আরও উঁচু হয়।

এদিকে মোখার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে উপকূল ও নদীতে সচেতনতামূলক প্রচারণা করছে রেড ক্রিসেন্ট ও কোস্ট গার্ড।

এ বিষয়ে রেড ক্রিসেন্ট ভোলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা মানুষকে ঝড়টির বিষয়ে সচেতন করছি। সতর্কতা সংকেত বাড়ানো হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।

এদিকে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই-লাহী চৌধূরী। তিনি বলেন, তিন ধাপে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৩ হাজার ৬০০ ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। ক্ষতি কমিয়ে আনতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি।