ঢাকার ধামরাইয়ের পুকুরের পাড় থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় জীবিত উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রবিউল ইসলাম (৩০)।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ধামরাই-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের পাশে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া বাজার এলাকায় বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
আটকরা হলেন- আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার হাজী আলম ভূইয়া (৫৫), সেলিম ভূইয়া (৪০), আজহার ভূইয়া (২৪), ফারুক ভূইয়া (৩৫) ও ফরহাদ ভূইয়া (৩০)।
নিহত মো. রবিউল (২২) আশুলিয়ার গাজীরচট চারালপাড়া এলাকার মো. আলতাফের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ইউনিক বাস স্ট্যান্ডে আলম ভূইয়ার মালিকানাধীন ভবনের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাস্তার পাশে গাড়ি থেকে হঠাৎ পুকুরের পাশে একটি বস্তা ফেলা হয়। এসময় বস্তাটি নড়াচড়া দেখে স্থানীয়রা। বস্তার মুখ খুলে রক্তাক্ত অবস্থায় রবিউলকে উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বোন চান বানু বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি আশুলিয়ার আলম ভূইয়ার দুই ছেলের সঙ্গে ঝামেলা হয় সোহাগ ও রবিউলের। এ ঘটনায় আলম ভূইয়ার পরিবার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুই নম্বর আসামি ছিলো রবিউল। সে ঘটনার জের ধরেই রবিউলকে কারখানা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সব ভূইয়ারা আমার ভাইকে মারছে। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর রিফাত আরা বাংলানিউজকে বলেন, রবিউল নামের ব্যক্তিকে আমাদের হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে। পা ভাঙা। মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পান্নু মিয়া বলেন, আমরা হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহে উদ্ধার করেছি। নিহতের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার দুই পা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এক পা ও হাতের রগ কেটে ফেলা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।