ঢাকা ০৫:০৮ এএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় ওয়াসার পানি নেই ৩ দিন, মানুষের দুর্ভোগ

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৪:০৯:৪২ এএম, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩ ৪৯১ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মুজগুন্নী, গোয়ালখালী ও বাস্তুহারার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা ওয়াসার পানি। গত ৩ দিন ধরে ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ এইসব এলাকায়।

খাওয়া ও দৈনন্দিন কাজে প্রয়োজনীয় পানির সংকটে চরম বিপাকে পড়েছে এখানকার হাজার হাজার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বলেন, জীবন ধারণের জন্য ওই এলাকার মানুষ ওয়াসার পানির ওপর নির্ভরশীল। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ টিউবওয়েলেও পানি উঠছে না। গত ৩ দিন ধরে ওয়াসার পানির না থাকায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। ফলে জীবন ধারণে এই পানির ওপর নির্ভরশীল অনেক পরিবার এক থেকে দুই কিলোমিটার দূর থেকে কলস, ড্রাম ও জার ভরে পানি সংগ্রহ করে আনছেন। ওই পানি দিয়ে রান্না ও খাওয়ার কাজ চললেও গোসলের পানি মিলছে না কোথাও। এতে বাধ্য হয়ে অনেকে আশপাশের এলাকায় থাকা স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে গোসল করছেন।

সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে গোয়ালখালি এলাকার ১৭ নম্বর হোল্ডিংয়ের মালিক আবু মুসা বলেন, ১৯ আগস্ট থেকে আমরা খুব বিপদের মধ্যে পড়ে গেছি। টিউবওয়েলও নেই। ওয়াসার পানির ওপর নির্ভরশীল সবাই। বাড়িতে ভাড়াটিয়া রয়েছে সবাই খুব বিপদের মধ্যে পড়েছি। আমার এলাকা আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ পানি বঞ্চিত রয়েছি। গোসল করতে পারছি না। পানির অভাবে ওজুও ঠিক মতো করতে পারছি না।

ভুক্তভোগী মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার ১৭৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের বাড়ির মালিক মো. মুকুল বাংলানিউজকে বলেন, ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। বলেছে যত দ্রুত সম্ভব পানি দেবে। কিন্তু কখন কি লাইন চালু হবে তা কেউ জানে না। পানির জন্য খুবই কষ্টে আছি।

ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মৌ ইসলাম বলেন, গোয়ালখালী লেবুতলা পানির পাম্পের পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে তিনদিন ধরে পানি না। মুজগুন্নী গোয়ালখালী বাস্তুহারাসহ এই এলাকার কয়েক হাজার পরিবার প্রচণ্ড কষ্টে আছে। রান্না ও ধোয়া মোছার কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, ওয়াসা থেকে মাইকিং করেছে যে পানির লাইন মেরামত করা হচ্ছে। পানি পেতে সাময়িক সমস্যা হবে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন বাংলানিউজকে বলেন, ওয়াসার পানি বন্ধ থাকায় ১০-১৫ হাজার মানুষ কষ্টে আছে। লেবুতলা পানির ট্যাংকির সংযোগ খুলে গেছে। তারা আগে মাইকিং করে পানি বন্ধ করেছে। মাইকিংয়ে তিন দিন সময় লাগবে বলে বলা হয়েছিল।

তিন দিন ধরে ওয়াসার পানি বন্ধ থাকার বিষয়ে কথা বলার জন্য সোমবার সকালে খুলনা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী মো. আবদুল্লার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, খুলনা মহানগরীতে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিদিনের পানির চাহিদা ২৪ কোটি লিটার। পানির সরবরাহ ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা খুলনা ওয়াসা ৪০ হাজার বাড়িতে দিনে সাত কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারছে। এদিকে শহরের বেশির ভাগ নলকূপেই পানি ওঠে না। এ কারণে বর্তমানে সাবমার্সিবল পাম্পেই ভরসা খুঁজতে হচ্ছে খুলনার মানুষকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

খুলনায় ওয়াসার পানি নেই ৩ দিন, মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশকাল ০৪:০৯:৪২ এএম, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মুজগুন্নী, গোয়ালখালী ও বাস্তুহারার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা ওয়াসার পানি। গত ৩ দিন ধরে ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ এইসব এলাকায়।

খাওয়া ও দৈনন্দিন কাজে প্রয়োজনীয় পানির সংকটে চরম বিপাকে পড়েছে এখানকার হাজার হাজার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বলেন, জীবন ধারণের জন্য ওই এলাকার মানুষ ওয়াসার পানির ওপর নির্ভরশীল। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ টিউবওয়েলেও পানি উঠছে না। গত ৩ দিন ধরে ওয়াসার পানির না থাকায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। ফলে জীবন ধারণে এই পানির ওপর নির্ভরশীল অনেক পরিবার এক থেকে দুই কিলোমিটার দূর থেকে কলস, ড্রাম ও জার ভরে পানি সংগ্রহ করে আনছেন। ওই পানি দিয়ে রান্না ও খাওয়ার কাজ চললেও গোসলের পানি মিলছে না কোথাও। এতে বাধ্য হয়ে অনেকে আশপাশের এলাকায় থাকা স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে গোসল করছেন।

সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে গোয়ালখালি এলাকার ১৭ নম্বর হোল্ডিংয়ের মালিক আবু মুসা বলেন, ১৯ আগস্ট থেকে আমরা খুব বিপদের মধ্যে পড়ে গেছি। টিউবওয়েলও নেই। ওয়াসার পানির ওপর নির্ভরশীল সবাই। বাড়িতে ভাড়াটিয়া রয়েছে সবাই খুব বিপদের মধ্যে পড়েছি। আমার এলাকা আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ পানি বঞ্চিত রয়েছি। গোসল করতে পারছি না। পানির অভাবে ওজুও ঠিক মতো করতে পারছি না।

ভুক্তভোগী মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার ১৭৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের বাড়ির মালিক মো. মুকুল বাংলানিউজকে বলেন, ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। বলেছে যত দ্রুত সম্ভব পানি দেবে। কিন্তু কখন কি লাইন চালু হবে তা কেউ জানে না। পানির জন্য খুবই কষ্টে আছি।

ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মৌ ইসলাম বলেন, গোয়ালখালী লেবুতলা পানির পাম্পের পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে তিনদিন ধরে পানি না। মুজগুন্নী গোয়ালখালী বাস্তুহারাসহ এই এলাকার কয়েক হাজার পরিবার প্রচণ্ড কষ্টে আছে। রান্না ও ধোয়া মোছার কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, ওয়াসা থেকে মাইকিং করেছে যে পানির লাইন মেরামত করা হচ্ছে। পানি পেতে সাময়িক সমস্যা হবে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন বাংলানিউজকে বলেন, ওয়াসার পানি বন্ধ থাকায় ১০-১৫ হাজার মানুষ কষ্টে আছে। লেবুতলা পানির ট্যাংকির সংযোগ খুলে গেছে। তারা আগে মাইকিং করে পানি বন্ধ করেছে। মাইকিংয়ে তিন দিন সময় লাগবে বলে বলা হয়েছিল।

তিন দিন ধরে ওয়াসার পানি বন্ধ থাকার বিষয়ে কথা বলার জন্য সোমবার সকালে খুলনা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী মো. আবদুল্লার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, খুলনা মহানগরীতে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিদিনের পানির চাহিদা ২৪ কোটি লিটার। পানির সরবরাহ ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা খুলনা ওয়াসা ৪০ হাজার বাড়িতে দিনে সাত কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারছে। এদিকে শহরের বেশির ভাগ নলকূপেই পানি ওঠে না। এ কারণে বর্তমানে সাবমার্সিবল পাম্পেই ভরসা খুঁজতে হচ্ছে খুলনার মানুষকে।