ঢাকা ০৬:৩২ পিএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুল-নৈবেদ্য সাজিয়ে দীপাবলিতে স্বজনদের স্মরণ

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৬:২৩:৩৪ এএম, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩ ৩৫৭ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরিশালে এশিয়ার সবচেয়ে বড় দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে নগরীর মহাশ্মশান ঘাটে ফুল আর নৈবেদ্য সাজিয়ে সমাধিতে দ্বীপশিখা জ্বেলে স্বজনদেরে স্মরণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

বিগত বছরগুলোতে ভক্তদের সমাগম বেশি থাকলেও এ বছর বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের কারণে ভক্তদের উপস্থিতি কম বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’- এমন বাণী ধারণ করে মঙ্গলের খোঁজে শতশত ভক্ত প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করেছেন প্রিয়জনের সমাধি। উদ্দেশ্য হারানো স্বজন স্বর্গবাসী হোক।

শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ও ২০৩ বছরের পুরোনো বরিশাল মহাশ্মশান ঘাট এলাকায় প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপাবলি উৎসব পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দীপাবলিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের মৃত স্বজনদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। পূজা জোগ ভোগ আর বন্দনায় অন্ধকার বিরানভূমি পরিণত হয় পুণ্যভূমিতে। তাদের মতে দীপাবলির এ আলো দূর করে অন্তরের অন্ধকার, আনে মঙ্গল।

কালীপূজার আগের দিন ভূত চতুরদর্শী তিথিতে পূজার্চনা করলে প্রয়াত ব্যক্তির আত্মা শান্তি লাভ করে। তাই সমাধিস্থলে নিবেদন করা হয় প্রয়াতের পছন্দের নানা খাবার।

বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জি কুডু জানান, ভারত-নেপালসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের হারানো স্বজনদের জন্য এদিন আসেন বরিশাল মহাশ্মশানে। এ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের কারণে এবার ভক্তদের আনাগোনা কিছুটা কম।

উল্লেখ্য, প্রায় ছয় একর জমির ওপর নির্মিত মহাশ্মশানে কাঁচা-পাকা মিলিয়ে মোট ৭২ হাজারেরও বেশি সমাধি রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ফুল-নৈবেদ্য সাজিয়ে দীপাবলিতে স্বজনদের স্মরণ

প্রকাশকাল ০৬:২৩:৩৪ এএম, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

বরিশালে এশিয়ার সবচেয়ে বড় দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে নগরীর মহাশ্মশান ঘাটে ফুল আর নৈবেদ্য সাজিয়ে সমাধিতে দ্বীপশিখা জ্বেলে স্বজনদেরে স্মরণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

বিগত বছরগুলোতে ভক্তদের সমাগম বেশি থাকলেও এ বছর বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের কারণে ভক্তদের উপস্থিতি কম বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’- এমন বাণী ধারণ করে মঙ্গলের খোঁজে শতশত ভক্ত প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করেছেন প্রিয়জনের সমাধি। উদ্দেশ্য হারানো স্বজন স্বর্গবাসী হোক।

শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ও ২০৩ বছরের পুরোনো বরিশাল মহাশ্মশান ঘাট এলাকায় প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপাবলি উৎসব পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দীপাবলিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের মৃত স্বজনদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। পূজা জোগ ভোগ আর বন্দনায় অন্ধকার বিরানভূমি পরিণত হয় পুণ্যভূমিতে। তাদের মতে দীপাবলির এ আলো দূর করে অন্তরের অন্ধকার, আনে মঙ্গল।

কালীপূজার আগের দিন ভূত চতুরদর্শী তিথিতে পূজার্চনা করলে প্রয়াত ব্যক্তির আত্মা শান্তি লাভ করে। তাই সমাধিস্থলে নিবেদন করা হয় প্রয়াতের পছন্দের নানা খাবার।

বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জি কুডু জানান, ভারত-নেপালসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের হারানো স্বজনদের জন্য এদিন আসেন বরিশাল মহাশ্মশানে। এ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের কারণে এবার ভক্তদের আনাগোনা কিছুটা কম।

উল্লেখ্য, প্রায় ছয় একর জমির ওপর নির্মিত মহাশ্মশানে কাঁচা-পাকা মিলিয়ে মোট ৭২ হাজারেরও বেশি সমাধি রয়েছে।