ঢাকা ০৭:০৩ পিএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচারণায় নৌকার কর্মী-সমর্থকরা, সাদিক শিবিরে আনন্দের বন্যা

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৬:৩৪:৩৮ এএম, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৬৬ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রথমে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা, তারপরে আপিলে বাতিল এবং শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে রিট করে আপিলের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। ফলে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে থাকছেন বরিশাল-৫(সদর) আসনের আলোচিত এই স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

এ ঘোষণার পর থেকেই সাদিক শিবিরে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করে। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবরে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকেই সাবেক এই মেয়রের বাসভবন নগরের কালিবাড়ি রোডের সেরনিয়াবাত ভবনে ভিড় করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা।

অপরদিকে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন এ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদ ফারুকের পক্ষে কর্মী সমর্থকসহ অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। শহরজুড়ে দুপুর দুইটার পর থেকে মাইকিং ও গণসংযোগের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণাও চালান তারা। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী সব প্রার্থীই ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সুপার (অব.) মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ- বীর বিক্রমসহ সাদিক অনুসারী দলীয় নেতাকর্মীরা একাধিকবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেছেন। সর্বশেষ সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উচ্চ আদালতের আদেশের আইনজীবীর সার্টিফাইড কপি জমা দিয়েছেন তারা। কপি প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা এটি পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়ায় সাদিক আব্দুল্লাহর কর্মী-সমর্থকের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সুপার (অব.) মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ- বীর বিক্রম বলেন, আমাদের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে উচ্চ আদালতের একটি রায় হয়েছে। যার ফলে সংসদ নির্বাচনে তার প্রার্থী হতে বাধা নেই। আর এ রায় সংক্রান্ত আনঅফিসিয়াল একটি কপি (আইনজীবীর সার্টিফাইড) জমা দিয়েছি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। তিনি (রিটার্নিং কর্মকর্তা) বলেছেন, নিয়মানুযায়ী তার যে কাজ রয়েছে, সেগুলো সম্পাদন করে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, আমাদের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনে আপিল তার প্রার্থিতা বাতিল হলে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হই আমরা। উচ্চ আদালতের রিট পিটিশনে সাদিক আব্দুল্লাহর নির্বাচনে কোনো বাধা নেই। আইনজীবীর সার্টিফাইড কপি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দিয়েছি তিনি আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী থাকার পরও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা কোন দিকে যাবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এ,কে,এম জাহাঙ্গীর বলেন, বরিশালের মানুষ পরিবর্তন চায়। আর পরিবর্তনের জন্য একটা মানুষ সুযোগ পেয়েছে। সেই পরিবর্তন সাদিক আব্দুল্লাহর হাত ধরে আসবে।

আর নৌকার সঙ্গে পরস্পর বিরোধী সাংঘর্ষিক অবস্থানের মতো বিষয় সৃষ্টি হবে কিনা জানতে চাইলে সাদিকের সমর্থনকারী এই দুই নেতা বলেন, আমরা কোনো কিছুর সঙ্গে সংঘর্ষে নেই, আমরা নেত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিতে অনুযায়ী প্রার্থী হয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রচারণায় নৌকার কর্মী-সমর্থকরা, সাদিক শিবিরে আনন্দের বন্যা

প্রকাশকাল ০৬:৩৪:৩৮ এএম, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রথমে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা, তারপরে আপিলে বাতিল এবং শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে রিট করে আপিলের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। ফলে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে থাকছেন বরিশাল-৫(সদর) আসনের আলোচিত এই স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

এ ঘোষণার পর থেকেই সাদিক শিবিরে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করে। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবরে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকেই সাবেক এই মেয়রের বাসভবন নগরের কালিবাড়ি রোডের সেরনিয়াবাত ভবনে ভিড় করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা।

অপরদিকে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন এ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদ ফারুকের পক্ষে কর্মী সমর্থকসহ অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। শহরজুড়ে দুপুর দুইটার পর থেকে মাইকিং ও গণসংযোগের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণাও চালান তারা। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী সব প্রার্থীই ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সুপার (অব.) মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ- বীর বিক্রমসহ সাদিক অনুসারী দলীয় নেতাকর্মীরা একাধিকবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেছেন। সর্বশেষ সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উচ্চ আদালতের আদেশের আইনজীবীর সার্টিফাইড কপি জমা দিয়েছেন তারা। কপি প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা এটি পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়ায় সাদিক আব্দুল্লাহর কর্মী-সমর্থকের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সুপার (অব.) মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ- বীর বিক্রম বলেন, আমাদের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে উচ্চ আদালতের একটি রায় হয়েছে। যার ফলে সংসদ নির্বাচনে তার প্রার্থী হতে বাধা নেই। আর এ রায় সংক্রান্ত আনঅফিসিয়াল একটি কপি (আইনজীবীর সার্টিফাইড) জমা দিয়েছি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। তিনি (রিটার্নিং কর্মকর্তা) বলেছেন, নিয়মানুযায়ী তার যে কাজ রয়েছে, সেগুলো সম্পাদন করে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, আমাদের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনে আপিল তার প্রার্থিতা বাতিল হলে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হই আমরা। উচ্চ আদালতের রিট পিটিশনে সাদিক আব্দুল্লাহর নির্বাচনে কোনো বাধা নেই। আইনজীবীর সার্টিফাইড কপি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দিয়েছি তিনি আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী থাকার পরও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা কোন দিকে যাবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এ,কে,এম জাহাঙ্গীর বলেন, বরিশালের মানুষ পরিবর্তন চায়। আর পরিবর্তনের জন্য একটা মানুষ সুযোগ পেয়েছে। সেই পরিবর্তন সাদিক আব্দুল্লাহর হাত ধরে আসবে।

আর নৌকার সঙ্গে পরস্পর বিরোধী সাংঘর্ষিক অবস্থানের মতো বিষয় সৃষ্টি হবে কিনা জানতে চাইলে সাদিকের সমর্থনকারী এই দুই নেতা বলেন, আমরা কোনো কিছুর সঙ্গে সংঘর্ষে নেই, আমরা নেত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিতে অনুযায়ী প্রার্থী হয়েছি।