এই মুহূর্তে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বলেও তিনি জানান।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার পর রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা জানান।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান- এ স্লোগান দিয়ে এবারের ইশতেহার প্রকাশ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড, আব্দুর রাজ্জাক। এরপর বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নেতাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর শেখ হাসিনা ইশতেহার প্রকাশ করা শুরু করেন। এর আগে বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ওপর দুটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে যাচ্ছে দেশ। এ উত্তরণ যেমন একদিকে সম্মানের, অন্যদিকে বিশাল চ্যালেঞ্জেরও। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে।
তিনি বলেন, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়, মাতৃভূমির স্বাধীনতা থেকে শুরু করে এ দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন, তা এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরেই ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠিত হবে।
আসুন, আরও একবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনারা আমাদের ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব।
শেখ হাসিনা বলেন, কবির ভাষায় বলতে চাই-
“মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়
আড়ালে তার সূর্য হাসে;
হারা শশীর হারা হাসি
অন্ধকারেই ফিরে আসে। ”
সবাই ভালো থাকুন। আমি নিজেকে আপনাদের সেবায় উৎসর্গ করেছি।
অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।