ভারতের পাশের দেশ বাংলাদেশ। এখানে ক্রিকেটের বাজারও বেশ বড়। তবুও কেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দল কিনছে না আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো? এমন প্রশ্ন ছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ঈসমাইল হায়দার মল্লিকের কাছে।
উত্তরে বৃহস্পতিবার মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসতে চায় না বা না আসার কোনো কারণ নেই। তারা অনেকবারই আমাদের অ্যাপ্রোচ করেছিল। বোর্ডের সিদ্ধান্ত এরকমই যে আমাদের টুর্নামেন্টটাকে আমাদের দেশীয় স্টাইলেই চালাতে চাই। আমরা এরকম কোনো কিছু করতে চাই না যে টুর্নামেন্টের রাইটসটা আমাদের হাতে থাকবে না। অন্য কারও কাছে রাইটসটা চলে যাবে। ’
বাংলাদেশের আইনেই জুয়া নিষিদ্ধ। এজন্য বিসিবি কোনো বেটিং সাইটকে স্পন্সর হিসেবে নিতে পারে না। এ কারণে বিসিবিকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বলেও জানিয়েছেন মল্লিক। গত আসরেও প্রায় দশ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তার।
তিনি বলেন, ‘আমার কিন্তু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে দেই। আমাদের প্রত্যেকটা কাজই কোনো না কোনো ইভেন্টই করছে। ইস্যুটা কী হয়েছে । নাফিসা আপা ঠিকই বলেছে ভারতের অনেক স্পন্সরই আসে। একটু আগে একটা প্রশ্ন হলো বেটিং সাইটের সারোগেট কিনা। এগুলোর জন্য আমরা রিস্ক নিতে চাই না। ’
‘বাইরের স্পন্সর যদি কোনো কর্পোরেট না হয় তাহলে কোনো অ্যাজেন্সির কাছে গিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতাটা ওইরকম ভালো না। যেমন লাস্ট ইয়ার বিপিএলে আমরা মিডিয়া রাইটস থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বেশি পেতাম। শুধুমাত্র বেটিং সাইট চালানো বন্ধ করে দেয়ার কারণে কম পেতে হয়েছে। ’
‘সারা বিশ্বেই একটা অর্থনৈতিক স্থবিরতা চলছে। আইপিএল ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বাদ দিলে আমি তো বিগ ব্যাশের উদাহরণও টানলাম। আপনারা খোঁজ নেন, যেহেতু সুজন ভাই আইসিসিতে যায়, সব বোর্ডের সিইওর সাথে কথা হয়। আমরা তো জানি কে কত আসলে লাভ করছে আর মিডিয়াতে কি আসছে। এটা এখন খুব কঠিন। এই রকম সময়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকে…। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট কেন বেশিরভাগ জাতীয় দলই তো স্যারোগেট এলাও করে দিয়েছে। ২-১ টা ছাড়া সবাই এটা নিচ্ছে, ভারতও নিচ্ছে। ’