টেলিযোগাযোগ খাতের কর যৌক্তিক করার আহ্বান টেলিযোগাযোগ খাতের কর যৌক্তিক করার আহ্বান – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

টেলিযোগাযোগ খাতের কর যৌক্তিক করার আহ্বান

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৭ পাঠক

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মূল নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করবে টেলিযোগাযোগ খাত। এই খাত থেকে সরকারকে সর্বোচ্চ রাজস্বও দেওয়া হচ্ছে।

অথচ এই খাতের অযাচিত করারোপ মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে বাড়তি চাপের মধ্যে রাখছে। আসন্ন বাজেটে এই খাতে অযাচিত করারোপ না করে যৌক্তির পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্টরা।

 

যেকোনো মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে থাক, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ

রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ আহ্বান জানান।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, এমটবের প্রেসিডেন্ট ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির চিফ কপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর (কপোরেট অ্যাফেয়ার্স) হোসেন সাদাত, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমাস অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, ফাইবার অ্যাট হোমের সুমন আহমেদ সাবির বক্তব্য রাখেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমটবের সেক্রেটারি জেনারেল লে. কর্নেল (অব.) জুলফিকার আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী। বক্তব্য রাখেন টিআরএনবি’র সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।

এমটবের প্রেসিডেন্ট ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, শুধু ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি যেন বাদ দেওয়া হয়। স্মার্টফোনকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন কঠিন হবে। তাই মোবাইল ফোনের পেনিট্রেশন বাড়ানোর ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ওপর থেকে যৌক্তিক কর ধার্য করা উচিত। সবকিছুতে জটিলতার জায়গা থেকে সহজীকরণ কীভাবে করা যায়, সেই চিন্তা করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কর যেন অনেক বড় বোঝা না হয়।

রবির চিফ কপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেন, করের ক্ষেত্রে শুরুতেই এন্ট্রি ব্যারিয়ার থাকে। যেমন সিম ট্যাক্স শুরুতে ১২০০ টাকা ছিল, যা এখন ১০০ টাকা। অথচ এন্ট্রি ব্যারিয়ার তৈরি না করলে বরং পরবর্তীতে এখান থেকে আরও বেশি কর আদায় সম্ভব। টেলিযোগাযোগ খাতকে স্পেশাল খাত হিসেবে গণ্য করা হলেও স্পেশাল মর্যাদা দেওয়া হয় না। তরঙ্গের ওপর বিশ্বের কোথাও কর নেই। আমাদের এখানে তরঙ্গকে অবকাঠামো হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর (কপোরেট অ্যাফেয়ার্স) হোসেন সাদাত বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে যাতে এগিয়ে যেতে হবে। কপোরেট ট্যাক্সটাকে র‌্যাশনালাইজ করা উচিত। এবারের বাজেটে তার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাব বলে আশা করি।

বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান বলেন, স্মার্ট ট্যাক্সেশন তৈরি করতে হবে। ট্যাক্স নেট কীভাবে বাড়াবো সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত চেঞ্জ মেকার। সিগারেট কোম্পানি ও টেলিকম খাতের কর কেন একই হারে হবে? কারণ সিগারেট কোম্পানি স্বাস্থ্যখাতের ব্যয় বাড়াবে। প্রযুক্তি কোনো আলাদা খাত নয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। অমীমাংসিত ইস্যুগুলো যদি সমাধান না হয়, তাহলে খাত এগোবে না।

ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) সুমন আহমেদ সাবির বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে যাচ্ছি। যেসব দেশে কর কম সেদেশে জিডিপি তত বেশি। সব জায়গা থেকেই যদি কর আরোপ করতে হবে। প্রতিটি লেয়ারে আমরা ভ্যাট দিচ্ছি। কর এমনভাবে আরোপ করা হোক যাতে এটি বোঝা না হয়।

লে. কনেল (অব.) জুলফিকার বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটির পর এবার ডিজিটার ইকোনমিতে সফলতা চাই। তবে এক্ষেত্রে অনেক ধরনের বাধা রয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ খাতে অষ্টম সর্বোচ্চ মোবাইল মার্কেট। এই খাতে ১০ লাখ মানুষের কমসংস্থান হয়েছে। প্রায় প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। অথচ এই খাতে যৌক্তিক কর আদায় হচ্ছে না। বিশ্বের বহু দেশের চেয়ে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে কর বেশি।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে টেলিযোগাযোগ খাতের কর পুনর্বিবেচনা করাসহ সবকিছু সহজীকরণ করতে হবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে ভিন্ন পৃথিবী দেখবে মানুষ। বাংলাদেশও সেই ভিন্ন পৃথিবীর অংশ হবে।

করনীতি পুনর্গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এবং বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ।

অপারেটর এবং খাত সংশ্লিষ্টদের আহ্বানের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, করখাত পুনর্গঠনের সাথে সাথে টেলিযোগাযোগ খাত কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। রাজস্ব আদায়ের বড় খাত এখন টেলিযোগাযোগ। এই খাতের অবদানকে কিভাবে জিডিপি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমন্বয় করা যায়, তা চিন্তা করতে হবে। মোবাইল অপারেটরেরা এখন আসলে ডিজিটাল অপারেটর।

বিটিআরসি যেন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা না হয়, সেদিকে খেয়াল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশনকে উদ্ভাবনী সংস্থা হিসেবে তৈরি হতে হবে। এনবিআরকেও স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। টেলিযোগাযোগ খাতকে স্মার্ট খাত হিসেবে তৈরি করতে হবে। স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম গড়তে কাজ করতে হবে।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD