বরিশালের গৌরনদীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) গৌরনদী মডেল থানায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করে বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে চার প্রার্থীর সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উপজেলার মাহিলারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুসহ তিনজন জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়।
ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, আহত উপজেলা যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও আহত ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহর মা বাদী হয়ে পৃথক দুই মামলা করেছেন।
যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী আফরোজ আক্তারের করা মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন মাহিলারা ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, তার ছোট ভাই কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক সলিল গুহ পিন্টু, গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোকন মল্লিক, আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আল আমিন হাওলাদার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সির ও পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. ইখতিয়ার হোসেন।
ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহর মা তাপসি রানী গুহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ মাহমুদ ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কালু তালুকদার।
ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের অনুসারী নেতাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীর জোট অনুসারীদের মারামারি হয়।
এতে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের কর্মী দেলোয়ার হোসে দিলু, মাহিলারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু এবং তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ হাওলাদার আহত হয়। তাদের মধ্যে পলাশ হাওলাদারকে ঢাকা নেওয়া হয়েছে। অপর দুইজন বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।