ঢাকা ১২:৩৩ পিএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপহৃত ৩ শিক্ষার্থী উদ্ধার

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৫:০৮:৩৪ এএম, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪ ১৯৩ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

: বরিশাল থেকে অপহৃত চতুর্থ শ্রেণির তিন মাদরাসা শিক্ষার্থীকে মাদারীপুরের রাজৈর থেকে উদ্ধার করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা।

মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আবুল হাসানাত জানান, রোববার সন্ধ্যায় মাদরাসায় ক্লাস করতে রওনা হয় শিক্ষার্থী নুসরাত তৈয়বা ও হাবিবা।

পথিমধ্যে এক নারী এক শিক্ষার্থীর আম্মু ডাকছে জানিয়ে সঙ্গে করে নেয়। তখন অপর দুই শিক্ষার্থীও তার সঙ্গে যায়।

 

শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে শিক্ষক বলেন, তিন শিক্ষার্থীকে অজ্ঞান করে নিয়ে যাওয়া হয়। গৌরনদী উপজেলার এলাহী ফিলিং স্টেশনে এসে বাস থামানো হয়। তখন এক শিক্ষার্থীর জ্ঞান ফিরে। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে কল করে বিষয়টি তার মাকে অবহিত করে। তার মা মাদরাসায় এসে জানালে মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এছাড়া বিষয়টি গৌরনদী থানা পুলিশকে জানানো হয়। গৌরনদী থানার পুলিশ হাইওয়ে থানাকে অবহিত করে। পরে রাজৈর টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের অপহরণের চেষ্টাকারী কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

শিশু হাবিবা আক্তারের বাবা হাবিবুর রহমানের বাড়ি বরিশালের গৌরনদীতে। নুসরাত জাহানের বাবা টুটুল মৃধার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জে। আর তৈয়বা আক্তারের বাবা নুরুল ইসলামের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলায়। তারা সবাই জীবিকার তাগিদে বরিশাল নগরের বেলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। শিশুরা জামিয়া ইসলামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জামিয়া ইসলামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসার সামনের সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলছে দুই নারী ও একজন পুরুষ। কথাবার্তার এক পর্যায়ে তিন শিক্ষার্থীকে নিয়ে চলে যায় তারা।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার সরওয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে নামে বরিশালের গৌরনদী, মাদারীপুরের মোস্তফাপুর ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ। পরে টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের উদ্ধার করে হাইওয়ে থানা পুলিশ। পরে পরিবারের সদস্য ও বরিশাল থেকে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের কাছে এ শিক্ষার্থীদের হস্তান্তর করা হয়।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ মো. খায়রুল আলম বলেন, তিনটি হাইওয়ে থানা পুলিশ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসায়। পরে টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা।

এদিকে এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকাজুড়ে। অপহরণকারী চক্রটিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি অভিভাবকদের।

অপরদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, পরিবারের সদস্যরা তাদের পাঠিয়েছে এমন পরিচয়ে কথা বলার চেষ্টা করে অপহরণকারীরা। এক পর্যায়ে তাদের নাকে কিছু শুকিয়ে অজ্ঞান করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অপহৃত ৩ শিক্ষার্থী উদ্ধার

প্রকাশকাল ০৫:০৮:৩৪ এএম, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

: বরিশাল থেকে অপহৃত চতুর্থ শ্রেণির তিন মাদরাসা শিক্ষার্থীকে মাদারীপুরের রাজৈর থেকে উদ্ধার করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা।

মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আবুল হাসানাত জানান, রোববার সন্ধ্যায় মাদরাসায় ক্লাস করতে রওনা হয় শিক্ষার্থী নুসরাত তৈয়বা ও হাবিবা।

পথিমধ্যে এক নারী এক শিক্ষার্থীর আম্মু ডাকছে জানিয়ে সঙ্গে করে নেয়। তখন অপর দুই শিক্ষার্থীও তার সঙ্গে যায়।

 

শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে শিক্ষক বলেন, তিন শিক্ষার্থীকে অজ্ঞান করে নিয়ে যাওয়া হয়। গৌরনদী উপজেলার এলাহী ফিলিং স্টেশনে এসে বাস থামানো হয়। তখন এক শিক্ষার্থীর জ্ঞান ফিরে। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে কল করে বিষয়টি তার মাকে অবহিত করে। তার মা মাদরাসায় এসে জানালে মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এছাড়া বিষয়টি গৌরনদী থানা পুলিশকে জানানো হয়। গৌরনদী থানার পুলিশ হাইওয়ে থানাকে অবহিত করে। পরে রাজৈর টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের অপহরণের চেষ্টাকারী কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

শিশু হাবিবা আক্তারের বাবা হাবিবুর রহমানের বাড়ি বরিশালের গৌরনদীতে। নুসরাত জাহানের বাবা টুটুল মৃধার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জে। আর তৈয়বা আক্তারের বাবা নুরুল ইসলামের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলায়। তারা সবাই জীবিকার তাগিদে বরিশাল নগরের বেলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। শিশুরা জামিয়া ইসলামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জামিয়া ইসলামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসার সামনের সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলছে দুই নারী ও একজন পুরুষ। কথাবার্তার এক পর্যায়ে তিন শিক্ষার্থীকে নিয়ে চলে যায় তারা।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার সরওয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে নামে বরিশালের গৌরনদী, মাদারীপুরের মোস্তফাপুর ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ। পরে টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের উদ্ধার করে হাইওয়ে থানা পুলিশ। পরে পরিবারের সদস্য ও বরিশাল থেকে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের কাছে এ শিক্ষার্থীদের হস্তান্তর করা হয়।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ মো. খায়রুল আলম বলেন, তিনটি হাইওয়ে থানা পুলিশ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসায়। পরে টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা।

এদিকে এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকাজুড়ে। অপহরণকারী চক্রটিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি অভিভাবকদের।

অপরদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, পরিবারের সদস্যরা তাদের পাঠিয়েছে এমন পরিচয়ে কথা বলার চেষ্টা করে অপহরণকারীরা। এক পর্যায়ে তাদের নাকে কিছু শুকিয়ে অজ্ঞান করা হয়।