ঢাকা ০২:২৮ পিএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে পুলিশ বক্স ও পিকআপ ভাঙচুর

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৫:৩০:৫৪ এএম, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪ ২২২ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা আড়াইটার দিকে নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা সিএন্ডবি রোড হয়ে সদর রোডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা থেকে সদর রোডে যাওয়ার সময় খাবারবাহী পিকআপ চলে আসে। শিক্ষার্থীদের বাঁধার মুখে যাওয়ার চেষ্টা করে পিকআপ।

 

তখন শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হলে চালক এএসআই ইয়াহিয়া পিকআপ রেখে পালিয়ে যান। তখন শিক্ষার্থীরা পিকআপে থাকা তিন সদস্যর ওপর হামলা করে। অন্যান্য শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে মারকাজ মসজিদে নেয়। শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার পর তিন সদস্যকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় আরেক দল শিক্ষার্থী চৌমাথা বাজারের বিপরীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা সুলতান মৃধা পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করেছে। তারা পুলিশের বক্স তছনছ করেছে।

এপিবিএন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খাবারবাহী ওই পিকআপে এএসআই ইয়াহিয়া চালক হিসেবে ছিলেন। এছাড়াও অপর তিন সদস্য হলেন এএসআই নেয়ামত, কনস্টেবল সিফাত হাসানাত ও মো. রিয়াজ। পিকআপে ৬০ জন ফোর্সের খাবার ছিলো।

এপিবিএন-এর এসআই নেয়ামত বলেন, ‘আমরা বিমানবন্দর থেকে ফোর্সের খাবার নিয়ে আসছি। ছাত্ররা আন্দোলন করে ডান পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। আমাদের গাড়ি দেখে কিছু ছাত্ররা হৈ-হুল্লোর শুরু করে। তখন পিকআপের চালক সাইড করে দৌড় দেয়। তখন আমরা আটকা পড়ে যাই। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মসজিদে আশ্রয় দিয়েছে। আমাদের মধ্যে কনস্টেবল সিফাত একটু আহত হয়েছে।’

বিএম কলেজের শিক্ষার্থী সুমন এই ভাঙচুরের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়িত নয় দাবি করে বলেছেন, একটি মহল তাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ বক্স ও পিকআপ ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বরিশালে পুলিশ বক্স ও পিকআপ ভাঙচুর

প্রকাশকাল ০৫:৩০:৫৪ এএম, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা আড়াইটার দিকে নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা সিএন্ডবি রোড হয়ে সদর রোডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা থেকে সদর রোডে যাওয়ার সময় খাবারবাহী পিকআপ চলে আসে। শিক্ষার্থীদের বাঁধার মুখে যাওয়ার চেষ্টা করে পিকআপ।

 

তখন শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হলে চালক এএসআই ইয়াহিয়া পিকআপ রেখে পালিয়ে যান। তখন শিক্ষার্থীরা পিকআপে থাকা তিন সদস্যর ওপর হামলা করে। অন্যান্য শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে মারকাজ মসজিদে নেয়। শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার পর তিন সদস্যকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় আরেক দল শিক্ষার্থী চৌমাথা বাজারের বিপরীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা সুলতান মৃধা পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করেছে। তারা পুলিশের বক্স তছনছ করেছে।

এপিবিএন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খাবারবাহী ওই পিকআপে এএসআই ইয়াহিয়া চালক হিসেবে ছিলেন। এছাড়াও অপর তিন সদস্য হলেন এএসআই নেয়ামত, কনস্টেবল সিফাত হাসানাত ও মো. রিয়াজ। পিকআপে ৬০ জন ফোর্সের খাবার ছিলো।

এপিবিএন-এর এসআই নেয়ামত বলেন, ‘আমরা বিমানবন্দর থেকে ফোর্সের খাবার নিয়ে আসছি। ছাত্ররা আন্দোলন করে ডান পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। আমাদের গাড়ি দেখে কিছু ছাত্ররা হৈ-হুল্লোর শুরু করে। তখন পিকআপের চালক সাইড করে দৌড় দেয়। তখন আমরা আটকা পড়ে যাই। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মসজিদে আশ্রয় দিয়েছে। আমাদের মধ্যে কনস্টেবল সিফাত একটু আহত হয়েছে।’

বিএম কলেজের শিক্ষার্থী সুমন এই ভাঙচুরের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়িত নয় দাবি করে বলেছেন, একটি মহল তাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ বক্স ও পিকআপ ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হবে।