চলতি বছর ‘ব্যবসায় শিক্ষা’ ইউনিটের ভর্তিতে নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা নিতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার এ তথ্য জানান আইনজীবী শিশির মনির।
পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার অভিযোগ এনে এক পরীক্ষার্থীর করা রিটের বর্তমানে ফলাফল প্রকাশের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। এ অবস্থায় রোববার নতুন করে এমসিকিউ নেওয়ার চিন্তার কথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী।
এদিকে আজ (রোববার) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি ১৪৬ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ‘একাধিক ভুল থাকায় সুষ্ঠু ফলাফল প্রকাশের জন্য পুনরায় পরীক্ষার আবেদন’ শীর্ষক আবেদন উপাচার্য বরাবর দেন এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে পরীক্ষা বাতিলে কর্তৃপক্ষের কাছে রিটকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একইসঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি এই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।
ওই রিটের শুনানি শেষে গত ১৯ মার্চ বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ফল প্রকাশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, শুধুমাত্র ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ক্ষেত্রে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা এক মাসের মধ্যে নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটও নিষ্পত্তির আবেদন করা হয়েছে। কারণ, এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ) কমিটির বিশ্লেষণের পরও কিছু ভুল থেকে যাচ্ছে। তাই নতুন করে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন আদালত যেভাবে আদেশ দেবেন, সেভাবেই হবে।