ঢাকা ০৫:৩২ এএম, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন কাঁচামালে বাড়তি শুল্কছাড়

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৩:২২:৫৫ এএম, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫ ৫৯ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রের তুলা দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে মার্কিন শুল্কে কিছুটা ছাড় পাবে বাংলাদেশ। ৩১ জুলাই জারি করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে এমন সুযোগ রাখা হয়েছে।

তবে এ ক্ষেত্রে মোট ব্যবহৃত তুলার ২০ শতাংশ বা তার বেশি আমদানি করতে হবে।

 

গতকাল বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এসব তথ্য জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ-এর সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান (বাবলু), সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুর রহিম, ফয়সাল সামাদ, মো. হাসিব উদ্দিন, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, নাফিস-উদ-দৌলা, মজুমদার আরিফুর রহমান, জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম, আসেফ কামাল পাশা, রুমানা রশীদ এবং সামিহা আজিম।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বিষয়টি পেয়েছি। এরপরই আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য ইউএস প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ইউএস কাস্টমস যাতে বিষয়টির বাস্তবায়ন করে, সেটা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। কারণ, আমাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে আমাদের উৎপাদন খরচও কমানো সম্ভব হবে। ইউএস তুলার দামও কমে আসবে। ’

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের মার্কিন রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশ হচ্ছে তুলাভিত্তিক পোশাক। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে বলা আছে, যদি ন্যূনতম ২০ শতাংশ আমেরিকার কাঁচামাল যেমন আমেরিকার তুলা) ব্যবহার করা হয়, তাহলে এই অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ আমেরিকার কাঁচামাল ব্যবহার করলে আমরা বাড়তি কিছু শুল্ক ছাড় পাব। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে স্পষ্ট বলা আছে, কিছু দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বা নিরাপত্তা চুক্তি আলোচনা এখনো চলমান রয়েছে, যেগুলো সম্পাদিত হলে এসব দেশের শুল্ক আরও কমতে পারে। তাই বাংলাদেশকে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। ’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মার্কিন কাঁচামালে বাড়তি শুল্কছাড়

প্রকাশকাল ০৩:২২:৫৫ এএম, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের তুলা দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে মার্কিন শুল্কে কিছুটা ছাড় পাবে বাংলাদেশ। ৩১ জুলাই জারি করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে এমন সুযোগ রাখা হয়েছে।

তবে এ ক্ষেত্রে মোট ব্যবহৃত তুলার ২০ শতাংশ বা তার বেশি আমদানি করতে হবে।

 

গতকাল বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এসব তথ্য জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ-এর সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান (বাবলু), সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুর রহিম, ফয়সাল সামাদ, মো. হাসিব উদ্দিন, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, নাফিস-উদ-দৌলা, মজুমদার আরিফুর রহমান, জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম, আসেফ কামাল পাশা, রুমানা রশীদ এবং সামিহা আজিম।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বিষয়টি পেয়েছি। এরপরই আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য ইউএস প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ইউএস কাস্টমস যাতে বিষয়টির বাস্তবায়ন করে, সেটা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। কারণ, আমাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে আমাদের উৎপাদন খরচও কমানো সম্ভব হবে। ইউএস তুলার দামও কমে আসবে। ’

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের মার্কিন রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশ হচ্ছে তুলাভিত্তিক পোশাক। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে বলা আছে, যদি ন্যূনতম ২০ শতাংশ আমেরিকার কাঁচামাল যেমন আমেরিকার তুলা) ব্যবহার করা হয়, তাহলে এই অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ আমেরিকার কাঁচামাল ব্যবহার করলে আমরা বাড়তি কিছু শুল্ক ছাড় পাব। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে স্পষ্ট বলা আছে, কিছু দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বা নিরাপত্তা চুক্তি আলোচনা এখনো চলমান রয়েছে, যেগুলো সম্পাদিত হলে এসব দেশের শুল্ক আরও কমতে পারে। তাই বাংলাদেশকে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। ’