বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন

কিশোরীকে ধর্ষণ, বাসার কেয়ারটেকারের আমৃত্যু কারাদণ্ড
সবুজবাংলা টিভি
প্রকাশ বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চার বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আগানগর এলাকায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ভুক্তভোগীর ভাড়া বাসার কেয়ারটেকার মো. সাঈদ মোল্লাকে (৬০) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

 

 

আমত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে ভুক্তভোগীকে দিতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রায় ঘোষণার সময় আসামি সাঈদ মোল্লাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. এরশাদ আলম (জর্জ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভিকটিম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আগানগর এলাকায় এক বাড়িতে পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন। ওই বাড়িতে আসামি মো. সাঈদ মোল্লা কেয়ারটেকার হিসাবে কাজ করতেন। আসামি প্রায়ই ভুক্তভোগীকে কু-প্রস্তাব দিতেন। ২০২১ সালের ২ আগস্ট ভিকটিম তার ছোট ভাইকে খোঁজার জন্য বাসার নিচে যায়। এসময় আসামি ভিকটিমকে কৌশলে বাসার ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পরে আসামি সাঈদ মোল্লা ঘটনা কাউকে বললে ভুক্তভোগীকে হত্যার হুমকি দেন। তাই ভুক্তভোগী হত্যার ভয়ে ঘটনা কাউকে বলেনি।

পরবর্তীতে একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে ফের ধর্ষণ করেন সাইদ। ভিকটিম তখন কান্নাকাটি ও চিৎকার করলে আসামি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

২০২২ সালের ৩১ আগস্ট দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. আলী জিন্নাহ আসামি সাঈদ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

এই পাতার আরো খবর