বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন

নির্বাচনের আগে ৪ হাজার এএসআই নিয়োগ, জানালেন আইজিপি
সবুজবাংলা টিভি
প্রকাশ বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নির্বাচনের আগে চার হাজার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)  নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, এরমধ্যে ৫০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ।

আর বাকিটা পদোন্নতির মাধ্যমে করা হবে।

 

বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে নিয়োগ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহারুল আলম বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেতে যে বিধি তৈরি হচ্ছে সেখানে কিছু সংশোধনের প্রয়োজন ছিল, আজ সেটা হয়ে গেছে। এতে আমাদের নিয়োগ দেওয়ার পথ সুগম হলো।

নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই নিয়োগ হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা নির্বাচনের আগে এই কাজটা করে ফেলতে চাই। আপনারা জানেন প্রধান উপদেষ্টা বেশ কিছু ফোর্সের অনুমোদনে তিনি নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। সেগুলো নিয়েই আমরা ওয়ার্কআউট করছি।

জনপ্রশাসন সচিব বলেন, আজ পুলিশের আইজিপিসহ একটি প্রতিনিধিদল এসেছিলেন। তাদের রেগুলেশন সংশোধনের মাধ্যমে নিয়োগ চলছে বড় আকারে। তা নিয়ে একসঙ্গে মিটিংটা করলাম।

তিনি বলেন, আজ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সামনে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদি আজ অর্ডারটা করে দিতে পারি… অনেক ধরনের নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। তারমধ্যে পুলিশের এএসআইয়ের নিয়োগ ত্বরান্বিত হবে।

এটা সংস্কার কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় সংস্কার নয়, কিছু জায়গায় নিয়োগ দিতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতা ছিল। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।

বিধিতে কী সংশোধন আনা হচ্ছে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, যেহেতু নির্বাচন সামনে এবং প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন সেই আলোকে অর্থ, আইন, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মিলে আমরা এই পদগুলো সৃষ্টি করেছি। এখন নিয়োগে কিছু বিধিমালা প্রচলিত ছিল, সেখানে কিছু সংশোধনের প্রয়োজন হয়েছে। সেগুলো করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সামনে নির্বাচনে প্রথম সারিতে থাকে পুলিশ ও আনসার বাহিনী। এই কাজগুলো যেন এক বসাতেই হয়, সেজন্য আমরা বসেছিলাম।

কত পদ সৃষ্টি করেছেন জানতে চাইলে সচিব বলেন, চার হাজারের বেশি। সিপাহী পদে যখন যেটা দরকার, পুলিশ বাহিনী রিকুইজিশন দিচ্ছে সেভাবেই হচ্ছে। পুলিশের অনেক ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। সেখানে প্রশিক্ষণ চলছে। একদিকে নিয়োগ অন্যদিকে প্রশিক্ষণ চলছে। প্রতিটি জেলাতেই চলছে।  আমাদের নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার আগেই যেন এই বাহিনী তৈরি হতে পারে সেই কাজটাই করছি।

নিয়োগের ৫০ শতাংশ সরাসরি ও বাকি ৫০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে হবে। তাহলে এটা কোন প্রক্রিয়ায় হবে, নাকি লটারির মাধ্যমে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লটারির প্রশ্ন তো এখানে আসছে না।

নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সংশয় নেই। গত তিনটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতার আলোকে মাঠ প্রশাসনকে সাজানো হবে। নির্বাচনে যেন সব কর্মকর্তা নিরপেক্ষ থাকেন, কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেন, সেই নির্দেশনা থাকবে। তবে শিডিউল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন এসব করবে।

এই পাতার আরো খবর