জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে লাগাতার সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ এনেছেন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এই অভিযোগ করেন।
একইসঙ্গে ছাত্রশিবিরের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আরও বড় কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নারী নেত্রীদের উদ্যোগে আয়োজিত এই মানববন্ধনে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীর করা রিটের কারণে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়েছে। এই রিটটি ছাত্রশিবিরের নেতা এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে করা হয়, যিনি যুদ্ধাপরাধীদের আদর্শ লালন করেন বলে অভিযোগ।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রশিবির ও জামায়াতকে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ফরহাদের পক্ষ হয়ে মামলা লড়ার জন্য এমন একজন আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়েছে যিনি একসময় ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
রাকিব আরও বলেন, ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং এবং হয়রানিতে জড়িত। ছাত্রদলের নারী নেত্রী মানসুরা, ফাহমিদা এবং আরও শতাধিক নারী কর্মী নিয়মিত শিবিরের সাইবার বুলিংয়ের শিকার।
শিবিরের নেতাদের ‘কাপুরুষ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, শিবির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ভুয়া আইডির’ মাধ্যমে রাজনীতি করে। তারা নারী ও রাজনৈতিক কর্মীদের চরিত্রহনন করতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।
রাকিব বলেন, ছাত্রদল এই ধরনের সাইবার বুলিং বন্ধ করতে আরও বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
মানববন্ধনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, সম্প্রতি এক নারী শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করার কারণে ছাত্রশিবিরের এক গুপ্ত সদস্য তাকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী রাজনৈতিক কর্মী ও শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রশিবিরের সদস্যরা নিয়মিতভাবে সাইবার বুলিং চালাচ্ছে।
ছাত্রদলের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, অতীতে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে বামপন্থী এবং রাজনৈতিক নারী কর্মীরা ছাত্রশিবিরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশেষ করে উপাচার্য এবং প্রক্টর, ছাত্রশিবিরের ‘গুপ্ত রাজনীতি’ সম্পর্কে অবগত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
ছাত্রদলের এই সাধারণ সম্পাদক নারী শিক্ষার্থীদের আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের কোনো প্যানেলকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানান এবং ব্যালটের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান রক্ষার কথা বলেন।
মানববন্ধনে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নারী নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।