ঢাকা ০৮:০৭ পিএম, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে সিলেটে মশাল মিছিল

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৩:৪৫:৫০ এএম, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫ ২ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সিলেট: উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে ও রোববার গণঅনশন কর্মসূচি সফল করতে সিলেট নগরে মশাল মিছিল করা হয়েছে ।

শনিবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘সিলেট আন্দোলন’ এর ব্যানারে হযরত শাহজালাল দরগাহ গেট থেকে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল বের করে নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে সংলগ্ন  শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

মশাল মিছিল শেষে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটের উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে সব মানুষ একাট্টা। সিলেটবাসীর ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না, এই কাফেলার আন্দোলন থামবে না।

রোববার সকাল ১১টা থেকে কোর্ট পয়েন্ট থেকে সুরমা মার্কেট পয়েন্ট পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে সিলেটের সর্বস্তরের জনসাধারণকে ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে নগরীর কুমারপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আরিফুল হক জানান, সিলেটের উন্নয়ন বৈষম্য ও সরকারি প্রকল্পে অবহেলার প্রতিবাদেই এই অরাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, ‘সিলেট আন্দোলন’ নামে একটি সার্বজনীন প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়েছে— যেখানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীর পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক, ধর্মীয় ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা যুক্ত হয়েছেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিলেট সবসময় বঞ্চিত। গত ১২ অক্টোবর কোর্ট পয়েন্টের সমাবেশ থেকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সে কারণেই এবার গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা এবং রেল উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সিলেটের সড়ক ও রেলপথের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। উপদেষ্টারা সিলেটের জন্য ১০টি নতুন রেলবগি বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। রেল টিকিট ও অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখনও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। বিমান ভাড়াও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দেও সিলেট পিছিয়ে আছে। ২০২১ সালে সিলেটের সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও সেটি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার সচিব নতুন করে প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন, তা হতাশাজনক। তাতে সিলেটের কোনো উন্নয়ন বরাদ্দ নেই। বাদাঘাটে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজেও কোনো অগ্রগতি নেই। এভাবে চলতে থাকলে রমজান মাসে সিলেটে পানির সংকট দেখা দিতে পারে। উন্নয়ন বৈষম্যের অবসান না হওয়া পর্যন্ত ‘সিলেট আন্দোলন’- এর কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে, বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে সিলেটে মশাল মিছিল

প্রকাশকাল ০৩:৪৫:৫০ এএম, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
সিলেট: উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে ও রোববার গণঅনশন কর্মসূচি সফল করতে সিলেট নগরে মশাল মিছিল করা হয়েছে ।

শনিবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘সিলেট আন্দোলন’ এর ব্যানারে হযরত শাহজালাল দরগাহ গেট থেকে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল বের করে নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে সংলগ্ন  শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

মশাল মিছিল শেষে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটের উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে সব মানুষ একাট্টা। সিলেটবাসীর ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না, এই কাফেলার আন্দোলন থামবে না।

রোববার সকাল ১১টা থেকে কোর্ট পয়েন্ট থেকে সুরমা মার্কেট পয়েন্ট পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে সিলেটের সর্বস্তরের জনসাধারণকে ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে নগরীর কুমারপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আরিফুল হক জানান, সিলেটের উন্নয়ন বৈষম্য ও সরকারি প্রকল্পে অবহেলার প্রতিবাদেই এই অরাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, ‘সিলেট আন্দোলন’ নামে একটি সার্বজনীন প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়েছে— যেখানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীর পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক, ধর্মীয় ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা যুক্ত হয়েছেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিলেট সবসময় বঞ্চিত। গত ১২ অক্টোবর কোর্ট পয়েন্টের সমাবেশ থেকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সে কারণেই এবার গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা এবং রেল উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সিলেটের সড়ক ও রেলপথের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। উপদেষ্টারা সিলেটের জন্য ১০টি নতুন রেলবগি বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। রেল টিকিট ও অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখনও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। বিমান ভাড়াও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দেও সিলেট পিছিয়ে আছে। ২০২১ সালে সিলেটের সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও সেটি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার সচিব নতুন করে প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন, তা হতাশাজনক। তাতে সিলেটের কোনো উন্নয়ন বরাদ্দ নেই। বাদাঘাটে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজেও কোনো অগ্রগতি নেই। এভাবে চলতে থাকলে রমজান মাসে সিলেটে পানির সংকট দেখা দিতে পারে। উন্নয়ন বৈষম্যের অবসান না হওয়া পর্যন্ত ‘সিলেট আন্দোলন’- এর কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে, বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।