চলতি বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে এসব অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। এখনও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিলীনের পথে রয়েছে ধীতপুর কুরসি হাট-বাজারসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি।
চলতি বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে এসব অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। এখনও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিলীনের পথে রয়েছে ধীতপুর কুরসি হাট-বাজারসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি।
এছাড়া ধীতপুর-কুরসি গ্রামের দুটি হাট-বাজারের অর্ধেক অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ধীতপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার প্রামাণিক, আসমা খাতুন, চম্পা বেগমসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যমুনাপারের এসব জমিতে ধান, বাদাম ও শীতকালীন সবজি আবাদ হয়ে থাকে। ১৯৮৮ সাল থেকে এখানে নদীভাঙন চলছে। আমরা ১০ থেকে ১২ দফায় ভাঙনের কবলে পড়েছি।
কমেলা খাতুন, বাতেন বেপারি, আব্দুর রাজ্জাক সরদার, আব্দুস সামাদ ও মনোয়ারা বেগম বলেন, এ পর্যন্ত ১২/১৪ বার বাড়িঘর ও ফসলি জমি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আবার ভাঙনের কবলে পড়েছেন তারা। এখন তাদের রাত কাটে ভাঙন আতঙ্কে।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাঁচ/ছয় বছরে এ দুটি ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে কমপক্ষে ২৭০ হেক্টর ফসলি জমি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত কয়েক মাসের ভাঙনে ৭০ থেকে ১০০ হেক্টর আবাদি জমি নদীতে বিলীন হওয়ায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর বিপরীত পাশেই ৮০/৯০ হেক্টর বালুর চর জেগে উঠেছে। কিন্তু তা এখনও আবাদযোগ্য হয়ে ওঠেনি।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, কুরসি-ধীতপুরের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিতে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেছি। তারা ভাঙন এলাকায় দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।