মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন

যশোরের ৬টি আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় চমক শুধু শ্রাবণ
সবুজবাংলা টিভি
প্রকাশ মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫
 ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যশোর জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের পাঁচটিতে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। এরমধ্যে একমাত্র চমক জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তিনি যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে ধানের শীষে মনোনয়ন লাভ করেছেন।

যশোর-৩ (সদর উপজেলা) আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হয়নি। তিনি ছিলেন দলের এই আসনের একক দাবিদার। ঘোষিত তালিকায় অনুমিতভাবেই যশোর-৩ আসনে ধানের শীষ উঠেছে অমিতের হাতে।

কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ
কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ

অন্য প্রার্থীরা হলেন, যশোর-১ (শার্শা উপজেলা) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলা) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানা মুন্নী, এবং যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা এবং সদর উপজেলার একাংশ) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ূব।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনটিতে কোন প্রার্থিতা ঘোষণা করা না হলেও ধারণা করা হচ্ছে এটি জোট শরিকের জন্য রেখে দিয়েছে বিএনপি।

সোমবার (০৩ নভেম্বর) ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন।

এবারের প্রার্থী তালিকায় একমাত্র চমক কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পর চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর নিজ জন্মস্থানে ফেরেন। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ আমলের পুরোটা সময় তিনি কেশবপুর তথা যশোরে আসতে পারেননি। তার বাড়ি কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামে।

শ্রাবণ ঢাকাতে অবস্থান করে দলের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এজন্য তিনি হামলা-মামলারও শিকার হয়েছেন। প্রতিদান হিসেবে ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল তাকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন।

এদিকে, বাংলানিউজে যশোরের সংসদীয় আসনগুলোতে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে প্রাকপ্রতিবেদনগুলোতে যে ধরনের আভাস দেওয়া হয়েছিল ঘোষিত তালিকায় তারই প্রতিফলন ঘটেছে।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসন নিয়ে বাংলানিউজের ‘যশোর-৫ এ প্রার্থীজটের পাশাপাশি জোট ভাবনায় বিএনপি, নিশ্চিন্তে জামায়াত’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘যদি জোটগতভাবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে জোট শরীক কোনো দলকেও আসনটি ছেড়ে দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই আসনটিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে মাঠে দেখা যেতে পারে।’

সেক্ষেত্রে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম না অন্য কোন জোট শরীককে ছেড়ে দেওয়া হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে, আসনটিতে জোট শরিক হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি আব্দুর রশিদ। তিনি এই আসনের সাবেক এমপি প্রয়াত মুফতি ওয়াক্কাস ওরফে ওয়াক্কাস হুজুরের। মণিরামপুরবাসীর কাছে মুফতি ওয়াক্কাস খুবই জনপ্রিয় নেতা ছিলেন।

এই পাতার আরো খবর