যশোর-৩ (সদর উপজেলা) আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হয়নি। তিনি ছিলেন দলের এই আসনের একক দাবিদার। ঘোষিত তালিকায় অনুমিতভাবেই যশোর-৩ আসনে ধানের শীষ উঠেছে অমিতের হাতে।
						যশোর-৩ (সদর উপজেলা) আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হয়নি। তিনি ছিলেন দলের এই আসনের একক দাবিদার। ঘোষিত তালিকায় অনুমিতভাবেই যশোর-৩ আসনে ধানের শীষ উঠেছে অমিতের হাতে।

অন্য প্রার্থীরা হলেন, যশোর-১ (শার্শা উপজেলা) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলা) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানা মুন্নী, এবং যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা এবং সদর উপজেলার একাংশ) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ূব।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনটিতে কোন প্রার্থিতা ঘোষণা করা না হলেও ধারণা করা হচ্ছে এটি জোট শরিকের জন্য রেখে দিয়েছে বিএনপি।
এবারের প্রার্থী তালিকায় একমাত্র চমক কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পর চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর নিজ জন্মস্থানে ফেরেন। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ আমলের পুরোটা সময় তিনি কেশবপুর তথা যশোরে আসতে পারেননি। তার বাড়ি কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামে।
এদিকে, বাংলানিউজে যশোরের সংসদীয় আসনগুলোতে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে প্রাকপ্রতিবেদনগুলোতে যে ধরনের আভাস দেওয়া হয়েছিল ঘোষিত তালিকায় তারই প্রতিফলন ঘটেছে।
সেক্ষেত্রে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম না অন্য কোন জোট শরীককে ছেড়ে দেওয়া হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে, আসনটিতে জোট শরিক হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি আব্দুর রশিদ। তিনি এই আসনের সাবেক এমপি প্রয়াত মুফতি ওয়াক্কাস ওরফে ওয়াক্কাস হুজুরের। মণিরামপুরবাসীর কাছে মুফতি ওয়াক্কাস খুবই জনপ্রিয় নেতা ছিলেন।