রোববার (৯ নভেম্বর) ভোর থেকে সারাদিন রাজশাহীর বাঘা, পাবনার আমিনপুর ও ঈশ্বরদী এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরে এ অভিযান চালানো হয়।
সন্ত্রাসীদের ধরতে রাজশাহী অঞ্চলে পদ্মার চরে সাঁড়াশি অভিযান, গ্রেপ্তার ৬৭
- প্রকাশকাল ০৬:৪৯:৫০ এএম, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ২ পাঠক
গত ২৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হন। পরবর্তীতে কাঁকন বাহিনীর প্রধান হাসিনুজ্জামান কাঁকনসহ বাহিনীর সদস্যদের নামে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, পদ্মার চরে কাঁকন বাহিনী ছাড়াও সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোর মধ্যে রয়েছে মণ্ডল বাহিনী, টুকু বাহিনী, সাঈদ বাহিনী, লালচাঁদ বাহিনী, রাখি বাহিনী, শরীফ কাইগি বাহিনী, রাজ্জাক বাহিনী, চল্লিশ বাহিনী, বাহান্ন বাহিনী, সুখচাঁদ ও নাহারুল বাহিনী। এসব বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পারস্পরিক দ্বন্দ্বের ফলে খুন, চরের চাষি ও জেলেদের হত্যা, চরের জমি দখল, বাথানের রাখাল ও মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, মাদক ও অস্ত্র পাচার, বেআইনি অস্ত্র দখলে রাখা, নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ও সর্বহারাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, পদ্মার চরের খড়ের মাঠ দখল এবং ডাকাতি। এতে অশান্ত থাকে চরাঞ্চল।
তিনি জানান, অভিযানে মোট ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে রাজশাহী রেঞ্জের রাজশাহী, পাবনা ও নাটোর জেলার চরাঞ্চল থেকে। অন্য নয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চল থেকে। গ্রেপ্তার করা ৬৭ জন কাঁকন বাহিনীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য। এর মধ্যে কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছেন।
আর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চর থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, একটি স্পিডবোট, অস্ত্র রাখার একটি সিলিন্ডার, দুটি তাঁবু ও পাঁচটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এই অভিযানই শেষ নয়। অভিযান শুরু হলো। এটি থেমে যাবে না। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন থেকে নিয়মিত অভিযান চলবে। সন্ত্রাসী বাহিনীর কার্যক্রম পুরোপুরি নির্মূল সম্ভব না হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
















