ঢাকা ০৪:১২ এএম, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৬:২৮:৩০ এএম, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ২১ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ভেষজ ওষুধ হিসেবে হলুদ খুবই জনপ্রিয়। সাধারণত কাঁচা হলুদের ঔষধি গুণই বেশি। আয়ুর্বেদের নিয়ম অনুযায়ী, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খাওয়াটা খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে শরীর অনেকভাবে উপকৃত হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হলুদের সঙ্গে একটি ছোট আদার টুকরো আর ২টি গোটা গোলমরিচের দানা চিবিয়ে খেলে শরীর-স্বাস্থ্যে চোখে পড়ার মতো উন্নতি লক্ষ্য করবেন। কমবে ওজনও।

১. প্রদাহ এবং ব্যথা কমানো

হলুদে থাকা কারকিউমিন এবং আদার জিঞ্জারল হলো শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এই উপাদানগুলো শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা বাত, গাঁটের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস এবং পেশির ব্যথা উপশমে সাহায্য করতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদ এবং আদার মিশ্রণ নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধের মতো কাজ করতে পারে।

২. হলুদের শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি

কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীর সহজে শোষণ করতে পারে না। কিন্তু গোলমরিচে থাকা পিপেরিন এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। এটি কারকিউমিনের শোষণ ক্ষমতাকে প্রায় ২০০০% পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই হলুদের সব উপকার পেতে তার সঙ্গে গোলমরিচ দিয়েই খাওয়া উচিত।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

শীতে শরীরে নানা ধরনের রোগ লেগেই থাকে। নিয়মিত সকালে খালিপেটে হলুদ, আদা আর গোলমরিচ খেলে, তা থেকে শরীরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যাবে। যা শরীরকে রোগসৃষ্টিকারী ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। কোষের ক্ষতি আটকাবে। ফলে সর্দি-কাশি, ফ্লু এবং নানা ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে তা শরীরকে রক্ষা করতে পারে।

৪. হজমশক্তি ভালো রাখা

আদা হজমে সহায়ক এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে। অন্য দিকে, গোলমরিচের পিপেরিন হজম প্রক্রিয়ায় গতি আনে। গ্যাস, পেট ফাঁপা বা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এটি খেলে হজমতন্ত্র পরিষ্কার থাকে এবং মেটাবলিজম বা বিপাকের হার বৃদ্ধি পায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করতে পারে।

বেশি উপকার পেতে যা করবেন

এই মিশ্রণের সঙ্গে ফ্যাটজাতীয় কোনো খাবার খান। কারণ হলুদের কাজ আরো ভালো হয় ফ্যাট জাতীয় কোনো খাবারের সঙ্গে খেলে। যার জন্য হলুদের সঙ্গে দুধ খেতে বলা হয়। তবে তাতে অসুবিধা থাকলে হলুদ, আদা আর গোলমরিচের সঙ্গে সামান্য ঘি বা নারকেল তেল খাওয়া যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশকাল ০৬:২৮:৩০ এএম, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ভেষজ ওষুধ হিসেবে হলুদ খুবই জনপ্রিয়। সাধারণত কাঁচা হলুদের ঔষধি গুণই বেশি। আয়ুর্বেদের নিয়ম অনুযায়ী, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খাওয়াটা খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে শরীর অনেকভাবে উপকৃত হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হলুদের সঙ্গে একটি ছোট আদার টুকরো আর ২টি গোটা গোলমরিচের দানা চিবিয়ে খেলে শরীর-স্বাস্থ্যে চোখে পড়ার মতো উন্নতি লক্ষ্য করবেন। কমবে ওজনও।

১. প্রদাহ এবং ব্যথা কমানো

হলুদে থাকা কারকিউমিন এবং আদার জিঞ্জারল হলো শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এই উপাদানগুলো শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা বাত, গাঁটের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস এবং পেশির ব্যথা উপশমে সাহায্য করতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদ এবং আদার মিশ্রণ নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধের মতো কাজ করতে পারে।

২. হলুদের শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি

কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীর সহজে শোষণ করতে পারে না। কিন্তু গোলমরিচে থাকা পিপেরিন এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। এটি কারকিউমিনের শোষণ ক্ষমতাকে প্রায় ২০০০% পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই হলুদের সব উপকার পেতে তার সঙ্গে গোলমরিচ দিয়েই খাওয়া উচিত।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

শীতে শরীরে নানা ধরনের রোগ লেগেই থাকে। নিয়মিত সকালে খালিপেটে হলুদ, আদা আর গোলমরিচ খেলে, তা থেকে শরীরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যাবে। যা শরীরকে রোগসৃষ্টিকারী ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। কোষের ক্ষতি আটকাবে। ফলে সর্দি-কাশি, ফ্লু এবং নানা ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে তা শরীরকে রক্ষা করতে পারে।

৪. হজমশক্তি ভালো রাখা

আদা হজমে সহায়ক এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে। অন্য দিকে, গোলমরিচের পিপেরিন হজম প্রক্রিয়ায় গতি আনে। গ্যাস, পেট ফাঁপা বা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এটি খেলে হজমতন্ত্র পরিষ্কার থাকে এবং মেটাবলিজম বা বিপাকের হার বৃদ্ধি পায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করতে পারে।

বেশি উপকার পেতে যা করবেন

এই মিশ্রণের সঙ্গে ফ্যাটজাতীয় কোনো খাবার খান। কারণ হলুদের কাজ আরো ভালো হয় ফ্যাট জাতীয় কোনো খাবারের সঙ্গে খেলে। যার জন্য হলুদের সঙ্গে দুধ খেতে বলা হয়। তবে তাতে অসুবিধা থাকলে হলুদ, আদা আর গোলমরিচের সঙ্গে সামান্য ঘি বা নারকেল তেল খাওয়া যেতে পারে।