ঢাকা ১০:১১ এএম, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক হেনস্তা ও শর্তভঙ্গ: স্থগিত লাতিন-বাংলা কাপের ম্যাচ

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৭:০৭:৫৮ এএম, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ৭ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
চরম অব্যবস্থাপনা, শর্তভঙ্গ এবং সাংবাদিকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার জেরে বড়সড় ধাক্কা খেল ‘এএফবি লাতিন-বাংলা সুপার কাপ ২০২৫’।

আয়োজকদের একের পর এক অপেশাদার আচরণের কারণে আগামী ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টের ম্যাচটি স্থগিত ঘোষণা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। একইসঙ্গে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’-এর অনুকূলে জাতীয় স্টেডিয়ামের বরাদ্দও সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা মেনে ৫, ৮ ও ১১ ডিসেম্বর—এই তিন দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে স্টেডিয়াম বরাদ্দ পেয়েছিল আয়োজকরা। কিন্তু টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই শর্ত লঙ্ঘনের গুরুতর সব অভিযোগ উঠতে থাকে তাদের বিরুদ্ধে।

এনএসসির অসন্তোষের মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আর্থিক অস্বচ্ছতা। শর্ত অনুযায়ী, প্রতিটি ম্যাচ শুরুর আগেই টিকিট বিক্রির পূর্ণাঙ্গ হিসাব এবং মোট আয়ের ৫০ শতাংশ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার কথা ছিল। একই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল স্পন্সরশিপ ও সম্প্রচার স্বত্বের ক্ষেত্রেও।

কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে (৫ ও ৮ ডিসেম্বর) আয়োজকরা এই শর্ত পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানা হয়নি, যা স্টেডিয়ামের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করেছে।

তবে পরিস্থিতির চূড়ান্ত অবনতি ঘটে গত ৮ ডিসেম্বরের ম্যাচে। সেদিন আয়োজকদের কয়েকজন উশৃঙ্খল সদস্য পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলা চালায়। ক্রীড়াঙ্গনে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেওয়া এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে এনএসসি।

এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এনএসসি কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হয়েছে। ১১ ডিসেম্বরের ম্যাচ স্থগিত করার পাশাপাশি আয়োজকদের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার মধ্যে বিগত দুই ম্যাচের (৫ ও ৮ ডিসেম্বর) টিকিট বিক্রি, স্পন্সরশিপ ও সম্প্রচার স্বত্বের পূর্ণাঙ্গ হিসাব এবং সরকারি পাওনা বাবদ ৫০ শতাংশ অর্থ এনএসসির অনুকূলে জমা দিতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব শর্ত পূরণ না হলে টুর্নামেন্টের বাকি অংশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সব মিলিয়ে আয়োজকদের অদক্ষতা ও বিতর্কের কারণে টুর্নামেন্টটি এখন বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাংবাদিক হেনস্তা ও শর্তভঙ্গ: স্থগিত লাতিন-বাংলা কাপের ম্যাচ

প্রকাশকাল ০৭:০৭:৫৮ এএম, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
চরম অব্যবস্থাপনা, শর্তভঙ্গ এবং সাংবাদিকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার জেরে বড়সড় ধাক্কা খেল ‘এএফবি লাতিন-বাংলা সুপার কাপ ২০২৫’।

আয়োজকদের একের পর এক অপেশাদার আচরণের কারণে আগামী ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টের ম্যাচটি স্থগিত ঘোষণা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। একইসঙ্গে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’-এর অনুকূলে জাতীয় স্টেডিয়ামের বরাদ্দও সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা মেনে ৫, ৮ ও ১১ ডিসেম্বর—এই তিন দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে স্টেডিয়াম বরাদ্দ পেয়েছিল আয়োজকরা। কিন্তু টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই শর্ত লঙ্ঘনের গুরুতর সব অভিযোগ উঠতে থাকে তাদের বিরুদ্ধে।

এনএসসির অসন্তোষের মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আর্থিক অস্বচ্ছতা। শর্ত অনুযায়ী, প্রতিটি ম্যাচ শুরুর আগেই টিকিট বিক্রির পূর্ণাঙ্গ হিসাব এবং মোট আয়ের ৫০ শতাংশ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার কথা ছিল। একই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল স্পন্সরশিপ ও সম্প্রচার স্বত্বের ক্ষেত্রেও।

কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে (৫ ও ৮ ডিসেম্বর) আয়োজকরা এই শর্ত পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানা হয়নি, যা স্টেডিয়ামের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করেছে।

তবে পরিস্থিতির চূড়ান্ত অবনতি ঘটে গত ৮ ডিসেম্বরের ম্যাচে। সেদিন আয়োজকদের কয়েকজন উশৃঙ্খল সদস্য পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলা চালায়। ক্রীড়াঙ্গনে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেওয়া এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে এনএসসি।

এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এনএসসি কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হয়েছে। ১১ ডিসেম্বরের ম্যাচ স্থগিত করার পাশাপাশি আয়োজকদের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার মধ্যে বিগত দুই ম্যাচের (৫ ও ৮ ডিসেম্বর) টিকিট বিক্রি, স্পন্সরশিপ ও সম্প্রচার স্বত্বের পূর্ণাঙ্গ হিসাব এবং সরকারি পাওনা বাবদ ৫০ শতাংশ অর্থ এনএসসির অনুকূলে জমা দিতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব শর্ত পূরণ না হলে টুর্নামেন্টের বাকি অংশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সব মিলিয়ে আয়োজকদের অদক্ষতা ও বিতর্কের কারণে টুর্নামেন্টটি এখন বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে।