মধ্যবাড্ডার গুদারাঘাট ৪ নাম্বার রোডের একটি চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলেন গুলশান থানার বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক কামরুল আহসান সাধন। চা দোকানে বসা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়।
এসব কথাই ফোনে বাংলানিউজকে বলছিলেন নিহতর আত্মীয় জিহাদ হোসেন।
রোববার (২৫ মে) রাত ১০টা ৬ মিনিটের দিকে মধ্য বাড্ডা গুদারাঘাট চার নম্বর রোডে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মারা যায় সাধন।
জিহাদ হোসেন বলেন, নিহত সাধন তার খালু হয়। স্ত্রী দিলরুবা আক্তারকে নিয়ে মধ্যবাড্ডা বালুরচর এলাকায় থাকতেন সাধন।
তিনি আরো জানান, ঘটনার সম্বন্ধে যতটুকু জানতে পেরেছি, গুদারাঘাট ৪ নম্বর রোডে একটি চায়ের দোকানে বসে সাধন অন্যান্য মানুষের সাথে কথা বলছিলেন। তখন দুইজন হেঁটে এসে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে। পরে তাকে লোকজন হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
তিনি আরো বলেন, এটাও জানতে পেরেছি যারা গুলি করেছে তারা বয়সে কিশোর।
কামরুল আহসান সাধন ইন্টারনেটের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। পাশাপাশি সাধন-বিএনপির রাজনীতির সাথেও জড়িত ছিল। গুলশান থানার বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ছিলেন তিনি।
বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত ব্যক্তি গুলশান থানার বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, দুইজন দুর্বৃত্ত হেঁটে এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তারেক মাহমুদ জানান, বিএনপি নেতা সাধনকে হত্যার ঘটনার আগে দুর্বৃত্তরা সেখানে ঘোরাঘুরি করছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয় ঘটনার পর রাজধানীর হৃদরোগ হাসপাতালে সাধনকে দেখতে যান ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।