কোনো বার্তা বা ইমেইলের খসড়া করা, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খোঁজা কিংবা একাকিত্বে আলাপচারিতা—এমন নানা কাজে মানুষ এখন চ্যাটজিপিটি বা অনুরূপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবটের সহায়তা নিচ্ছে। মানুষেরই মতো উত্তর দেওয়ার ক্ষমতার কারণে চ্যাটবটকে জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে।
তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—চ্যাটবট ব্যবহারে অসাবধানতা নানা ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে।
কোনো এআই চ্যাটবটের সঙ্গে ব্যবহারকারীর আলাপ কখনোই পুরোপুরি গোপন নয়। ব্যবহারকারী যা বলছেন বা করতে নির্দেশ দিচ্ছেন, তা সংরক্ষণ বা বিশ্লেষণ করা হতে পারে, এমনকি ভবিষ্যতে ফাঁসও হয়ে যেতে পারে। তাই কিছু তথ্য কখনোই এআই চ্যাটবটের সঙ্গে ভাগ করা উচিত নয়।
১. ব্যক্তিগত তথ্য
আপনার পুরো নাম, বাসার ঠিকানা, ফোন নম্বর কিংবা ই-মেইল—আলাদাভাবে নিরীহ মনে হলেও একত্র করলে এগুলো দিয়ে সহজেই অনলাইন পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব। এই তথ্য ফাঁস হলে প্রতারণা, ফিশিং আক্রমণ বা এমনকি শারীরিক ট্র্যাকিংয়ের ঝুঁকিও বাড়ে।
২. আর্থিক তথ্য
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের মতো তথ্য সাইবার অপরাধীদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। চ্যাটবটে শেয়ার করলে তা অপব্যবহারের শিকার হতে পারে।
৩. পাসওয়ার্ড
কোনো অবস্থাতেই চ্যাটবটে পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না। এতে ই-মেইল, ব্যাংক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। নিরাপদ পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করাই উত্তম।