ঢাকা ১২:০২ পিএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাজী মামুন ৬ দিনের রিমান্ডে

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৩:৩০:৪৫ এএম, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের রমনা থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এদিন মামুনূর রশীদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক আক্তার মোর্শেদ। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী সিরাজুর হক ফয়সাল রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন।

এর আগে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনের কাছ থেকে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মামুনূর রশীদকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মিন্টো রোডের মন্ত্রীপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় আটক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে মামুনূর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, গত শনিবার সকালে এনায়েত করিম একটি প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করছিলেন। পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে ঘোরাঘুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তার কাছ থেকে দুটি আইফোনও জব্দ করা হয়। দুটি আইফোন সেটে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অনেক তথ্য পেয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার এনায়েত বিশেষ দেশের গোয়েন্দা সংস্থার চুক্তিভিত্তিক এজেন্ট। জিজ্ঞাসাবাদে এনায়েত জানিয়েছেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার খুব নাজুক অবস্থায় আছে এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গেও তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই তিনি সরকার পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে কাজ করার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন। এরই মধ্যে তিনি সরকারি উচ্চ ও নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা ও ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন।

এনায়েত করিম চৌধুরী ১৯৮৮ সালে আমেরিকা যান এবং ২০০৪ সালে সেই দেশের পাসপোর্ট পান। গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে আসেন। সাত দিনের মাথায় মিন্টো রোডের মন্ত্রীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কাজী মামুন ৬ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশকাল ০৩:৩০:৪৫ এএম, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের রমনা থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এদিন মামুনূর রশীদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক আক্তার মোর্শেদ। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী সিরাজুর হক ফয়সাল রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন।

এর আগে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনের কাছ থেকে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মামুনূর রশীদকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মিন্টো রোডের মন্ত্রীপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় আটক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে মামুনূর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, গত শনিবার সকালে এনায়েত করিম একটি প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করছিলেন। পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে ঘোরাঘুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তার কাছ থেকে দুটি আইফোনও জব্দ করা হয়। দুটি আইফোন সেটে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অনেক তথ্য পেয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার এনায়েত বিশেষ দেশের গোয়েন্দা সংস্থার চুক্তিভিত্তিক এজেন্ট। জিজ্ঞাসাবাদে এনায়েত জানিয়েছেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার খুব নাজুক অবস্থায় আছে এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গেও তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই তিনি সরকার পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে কাজ করার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন। এরই মধ্যে তিনি সরকারি উচ্চ ও নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা ও ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন।

এনায়েত করিম চৌধুরী ১৯৮৮ সালে আমেরিকা যান এবং ২০০৪ সালে সেই দেশের পাসপোর্ট পান। গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে আসেন। সাত দিনের মাথায় মিন্টো রোডের মন্ত্রীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।