ঢাকা ০২:৩৪ এএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আত্মপ্রকাশ করলো এনসিপির অঙ্গ সংগঠন ‘জাতীয় শ্রমিক শক্তি’

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০১:৩৫:২৬ এএম, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ৫ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নতুন অঙ্গ সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জাতীয় শ্রমিক শক্তি’। সংগঠনটির আহ্বায়ক হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম ফকির, সদস্য সচিব রিয়াজ মোরশেদ এবং মুখ্য সংগঠক আরমান হোসেন।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নতুন সংগঠনটির ঘোষণা দেন। ঐক্য, সংগ্রাম, মর্যাদা ও মুক্তির পতাকা হাতে শ্রমিকের রাষ্ট্রক্ষমতা প্রতিষ্ঠার সুদূরপ্রসারী অঙ্গীকার নিয়ে শ্রমিক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শ্রম কমিশনের প্রধান চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের অ্যাডভোকেট আতিকুল ইসলাম এবং গার্মেন্টস শ্রমিক সংগতির নেতা তাসলিমা আখতার। অনুষ্ঠানে জাতীয় শ্রমিক শক্তির ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের নবনিযুক্ত আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম ফকির।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অনুষ্ঠানে বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি শ্রমিকদের পক্ষে রাজনীতি করবে। বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার যে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা ছিল, সেখানে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন শ্রমিকরা। ন্যায্য মজুরির জন্য চব্বিশের শুরুর দিকেও আন্দোলনে নামতে হয়েছিল তাদের, পুলিশের গুলিতে শ্রমিক মারা গেছেন। সেই সময় শ্রমিকের অধিকার ছিল না।

অনুষ্ঠানে জুলাই সনদ সইয়ের সমালোচনাও করেন তিনি। বলেন, আজ কিছু রাজনৈতিক দল জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি কাগজে সই করছে। যেই দিনে কিছু রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐকমত্যের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি কাগজে সই করছে, সেই দিনে জাতীয় শ্রমিক শক্তি রাজপথে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। আমরা জানি রাজপথের শক্তি জয়ী হয়। ইনশাআল্লাহ জাতীয় শ্রমিক শক্তিও জয়ী হবে।

রাজনৈতিক দলের ঐক্য জাতীয় ঐক্য নয় উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য তখন হয়, যখন সমাজের সব অংশের মানুষ দেশপ্রেমের ভিত্তিতে এক হয়ে লড়াই করে। যেটা আমরা দেখেছিলাম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে। সেসময় কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানার দেখিনি। শুধু দেখেছিলাম ছাত্র-শ্রমিক এবং নানান পেশাজীবী। আমরা সেই জাতীয় ঐক্যের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে ছাত্র-শ্রমিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করবে লড়াই করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আত্মপ্রকাশ করলো এনসিপির অঙ্গ সংগঠন ‘জাতীয় শ্রমিক শক্তি’

প্রকাশকাল ০১:৩৫:২৬ এএম, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নতুন অঙ্গ সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জাতীয় শ্রমিক শক্তি’। সংগঠনটির আহ্বায়ক হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম ফকির, সদস্য সচিব রিয়াজ মোরশেদ এবং মুখ্য সংগঠক আরমান হোসেন।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নতুন সংগঠনটির ঘোষণা দেন। ঐক্য, সংগ্রাম, মর্যাদা ও মুক্তির পতাকা হাতে শ্রমিকের রাষ্ট্রক্ষমতা প্রতিষ্ঠার সুদূরপ্রসারী অঙ্গীকার নিয়ে শ্রমিক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শ্রম কমিশনের প্রধান চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের অ্যাডভোকেট আতিকুল ইসলাম এবং গার্মেন্টস শ্রমিক সংগতির নেতা তাসলিমা আখতার। অনুষ্ঠানে জাতীয় শ্রমিক শক্তির ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের নবনিযুক্ত আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম ফকির।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অনুষ্ঠানে বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি শ্রমিকদের পক্ষে রাজনীতি করবে। বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার যে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা ছিল, সেখানে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন শ্রমিকরা। ন্যায্য মজুরির জন্য চব্বিশের শুরুর দিকেও আন্দোলনে নামতে হয়েছিল তাদের, পুলিশের গুলিতে শ্রমিক মারা গেছেন। সেই সময় শ্রমিকের অধিকার ছিল না।

অনুষ্ঠানে জুলাই সনদ সইয়ের সমালোচনাও করেন তিনি। বলেন, আজ কিছু রাজনৈতিক দল জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি কাগজে সই করছে। যেই দিনে কিছু রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐকমত্যের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি কাগজে সই করছে, সেই দিনে জাতীয় শ্রমিক শক্তি রাজপথে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। আমরা জানি রাজপথের শক্তি জয়ী হয়। ইনশাআল্লাহ জাতীয় শ্রমিক শক্তিও জয়ী হবে।

রাজনৈতিক দলের ঐক্য জাতীয় ঐক্য নয় উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য তখন হয়, যখন সমাজের সব অংশের মানুষ দেশপ্রেমের ভিত্তিতে এক হয়ে লড়াই করে। যেটা আমরা দেখেছিলাম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে। সেসময় কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানার দেখিনি। শুধু দেখেছিলাম ছাত্র-শ্রমিক এবং নানান পেশাজীবী। আমরা সেই জাতীয় ঐক্যের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে ছাত্র-শ্রমিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করবে লড়াই করবে।