ঢাকা ১০:২২ পিএম, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈষম্যবিরোধী আইনের অঙ্গীকার প্রয়োজন

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৪:০৫:০৪ এএম, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫ ২ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, নির্বাচন চাইলে অবশ্যই প্রয়োজন বৈষম্যবিরোধী আইনের অঙ্গীকার। যদি ন্যায্যবিচার চান তাহলে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে হবে। তার মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘একটি বৈষম্যবিরোধী আইন প্রবর্তন’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, নাগরিক উদ্যোগ-এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আরিফ খান, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি. রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফী রতন, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, ইউনিভার্সিটি অব আলস্টারের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. এস আর ওসমানী।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ন্যায্য বিচার চাইলে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে হবে, তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তেমনি সুষ্ঠু নির্বাচন ও কার্যকর সংস্কারের ক্ষেত্রেও একটি সর্বজনীন বৈষম্যবিরোধী আইনের প্রবর্তন অপরিহার্য। বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের মনে হয়েছে, বাংলাদেশে বৈষম্য মোকাবিলায় একটি আইনি কাঠামোর প্রয়োজন। আগের সরকারের সময়েও আমরা সর্বজনীন বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম, খসড়াও তৈরি হয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে গত বছরের আগস্টে ছাত্র গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা উন্মোচিত হয়েছে, সেটি আমাদের উৎসাহিত করেছে। এটি শুধু কোটা আন্দোলন নয় বরং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। এখনই সময় সেই চেতনাকে আইনি কাঠামোয় রূপ দেওয়া।

তিনি বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী কথা বলব, কিন্তু কোন কোনো বৈষম্য নিয়ে কথা বলব আর কোনো কোনো বৈষম্য নিয়ে কথা বলব না- এটা তো হতে পারে না। এই সর্বজনীনতা আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এই ছোট দেশের মধ্যেও যদি আঞ্চলিক বৈষম্য থাকে তাহলে সুষম উন্নয়ন হলো না। বাংলাদেশে বৈষম্য নিরসনের আইনি প্রেক্ষাপট, বর্তমান বাস্তবতা ও করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তিনি বলেন, বৈষম্য নিরসনের দায়িত্ব শুধু রাষ্ট্রের নয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজকেও এই দায়িত্ব নিতে হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আইনের প্রস্তাবনায় বৈষম্যের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা সমর্থনযোগ্য নয়, বরং এখানেও বৈষম্য করা হয়েছে। সবাইকে যদি মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করতে না পারা যায়, তবে এই আইনের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বৈষম্যবিরোধী আইনের অঙ্গীকার প্রয়োজন

প্রকাশকাল ০৪:০৫:০৪ এএম, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, নির্বাচন চাইলে অবশ্যই প্রয়োজন বৈষম্যবিরোধী আইনের অঙ্গীকার। যদি ন্যায্যবিচার চান তাহলে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে হবে। তার মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘একটি বৈষম্যবিরোধী আইন প্রবর্তন’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, নাগরিক উদ্যোগ-এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আরিফ খান, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি. রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফী রতন, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, ইউনিভার্সিটি অব আলস্টারের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. এস আর ওসমানী।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ন্যায্য বিচার চাইলে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে হবে, তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তেমনি সুষ্ঠু নির্বাচন ও কার্যকর সংস্কারের ক্ষেত্রেও একটি সর্বজনীন বৈষম্যবিরোধী আইনের প্রবর্তন অপরিহার্য। বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের মনে হয়েছে, বাংলাদেশে বৈষম্য মোকাবিলায় একটি আইনি কাঠামোর প্রয়োজন। আগের সরকারের সময়েও আমরা সর্বজনীন বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম, খসড়াও তৈরি হয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে গত বছরের আগস্টে ছাত্র গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা উন্মোচিত হয়েছে, সেটি আমাদের উৎসাহিত করেছে। এটি শুধু কোটা আন্দোলন নয় বরং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। এখনই সময় সেই চেতনাকে আইনি কাঠামোয় রূপ দেওয়া।

তিনি বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী কথা বলব, কিন্তু কোন কোনো বৈষম্য নিয়ে কথা বলব আর কোনো কোনো বৈষম্য নিয়ে কথা বলব না- এটা তো হতে পারে না। এই সর্বজনীনতা আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এই ছোট দেশের মধ্যেও যদি আঞ্চলিক বৈষম্য থাকে তাহলে সুষম উন্নয়ন হলো না। বাংলাদেশে বৈষম্য নিরসনের আইনি প্রেক্ষাপট, বর্তমান বাস্তবতা ও করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তিনি বলেন, বৈষম্য নিরসনের দায়িত্ব শুধু রাষ্ট্রের নয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজকেও এই দায়িত্ব নিতে হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আইনের প্রস্তাবনায় বৈষম্যের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা সমর্থনযোগ্য নয়, বরং এখানেও বৈষম্য করা হয়েছে। সবাইকে যদি মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করতে না পারা যায়, তবে এই আইনের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন