ঢাকা ০৬:১১ পিএম, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারা ঐকমত্য কমিশনে গুন্ডামি করেছেন: সামান্তা

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৪:০৬:৫২ এএম, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫ ৩ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে আগের মতো রাখতে বড় রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

তিনি বলেন, তারা ঐকমত্য কমিশনে যেমন গুন্ডামি করেছেন, এলাকাতেও একইভাবে গুন্ডামি-মাস্তানি করেন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় নারীশক্তি আয়োজিত ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন রূপরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সামান্তা শারমিন বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা মৌলিক কাঠামো বা গুণগত পরিবর্তনের কোনো লড়াই করতে পারিনি। এখন পর্যন্ত এর পেছনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্ট্যাবলিশমেন্ট এবং রাজনৈতিক দলগুলো। কারণ, তারা সবাই স্ট্যাবলিশমেন্টের ওপর নির্ভরশীল।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কখনোই স্বাধীন ছিল না। আমরা এখনো এমন কোনো ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি, যাতে সুপ্রিম কোর্ট স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। এই পরাধীন সুপ্রিম কোর্ট, পরাধীন নির্বাচন কমিশন, পরাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন-এগুলোকে আগের অবস্থায় রাখা স্ট্যাবলিশমেন্ট ও বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, এখন এসে তারা (বড় রাজনৈতিক দলগুলো) যদি বলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দরকার নেই, তারা ক্ষমতায় এসে করবে; কিংবা আমরা সময়ক্ষেপণ করছি বা নির্বাচন পেছাতে চাইছি-তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কেমন নির্বাচন চান? আমরা জানি, এখানে নির্বাচনে জয়ী হয় কারা-দুর্নীতিবাজ, খুনি, দালাল, ঋণখেলাপি; এদের দিয়েই চলছে এই রাজনৈতিক দলগুলো।

জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা বলেন, গণপরিষদ নির্বাচনই বাংলাদেশের উত্তরণের একমাত্র পথ। যদিও এ বিষয়ে তারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, কিন্তু লিখতে দেননি আলী রিয়াজকে। এই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে-তারা ঐকমত্য কমিশনে যেমন গুন্ডামি করেছে, এলাকাতেও একইভাবে গুন্ডামি-মাস্তানি করছে। তারা মনে করে মাস্তানি করে এবারের ভোট সংগ্রহ করা যাবে; কিন্তু আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে ৬০ শতাংশ তরুণ, তাদের ভোটের শক্তি দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা নষ্ট হতে দেবে না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন, নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা শিরিন হক, লেখক ও প্রকৌশলী মারদিয়া মমতাজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, আপ বাংলাদেশের মুখপাত্র শাহরিন ইরা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাকিয়া শিশির, সাংবাদিক জুম্মাতুল বিদা, অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা ঝুমা, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর ও টেলিভিশন উপস্থাপক কাজী জেসিন।

সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তারা ঐকমত্য কমিশনে গুন্ডামি করেছেন: সামান্তা

প্রকাশকাল ০৪:০৬:৫২ এএম, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে আগের মতো রাখতে বড় রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

তিনি বলেন, তারা ঐকমত্য কমিশনে যেমন গুন্ডামি করেছেন, এলাকাতেও একইভাবে গুন্ডামি-মাস্তানি করেন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় নারীশক্তি আয়োজিত ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন রূপরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সামান্তা শারমিন বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা মৌলিক কাঠামো বা গুণগত পরিবর্তনের কোনো লড়াই করতে পারিনি। এখন পর্যন্ত এর পেছনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্ট্যাবলিশমেন্ট এবং রাজনৈতিক দলগুলো। কারণ, তারা সবাই স্ট্যাবলিশমেন্টের ওপর নির্ভরশীল।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কখনোই স্বাধীন ছিল না। আমরা এখনো এমন কোনো ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি, যাতে সুপ্রিম কোর্ট স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। এই পরাধীন সুপ্রিম কোর্ট, পরাধীন নির্বাচন কমিশন, পরাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন-এগুলোকে আগের অবস্থায় রাখা স্ট্যাবলিশমেন্ট ও বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, এখন এসে তারা (বড় রাজনৈতিক দলগুলো) যদি বলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দরকার নেই, তারা ক্ষমতায় এসে করবে; কিংবা আমরা সময়ক্ষেপণ করছি বা নির্বাচন পেছাতে চাইছি-তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কেমন নির্বাচন চান? আমরা জানি, এখানে নির্বাচনে জয়ী হয় কারা-দুর্নীতিবাজ, খুনি, দালাল, ঋণখেলাপি; এদের দিয়েই চলছে এই রাজনৈতিক দলগুলো।

জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা বলেন, গণপরিষদ নির্বাচনই বাংলাদেশের উত্তরণের একমাত্র পথ। যদিও এ বিষয়ে তারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, কিন্তু লিখতে দেননি আলী রিয়াজকে। এই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে-তারা ঐকমত্য কমিশনে যেমন গুন্ডামি করেছে, এলাকাতেও একইভাবে গুন্ডামি-মাস্তানি করছে। তারা মনে করে মাস্তানি করে এবারের ভোট সংগ্রহ করা যাবে; কিন্তু আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে ৬০ শতাংশ তরুণ, তাদের ভোটের শক্তি দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা নষ্ট হতে দেবে না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন, নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা শিরিন হক, লেখক ও প্রকৌশলী মারদিয়া মমতাজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, আপ বাংলাদেশের মুখপাত্র শাহরিন ইরা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাকিয়া শিশির, সাংবাদিক জুম্মাতুল বিদা, অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা ঝুমা, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর ও টেলিভিশন উপস্থাপক কাজী জেসিন।

সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।