স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৭ নভেম্বর বরিশালের গৌরনদীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের জনসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক (বরিশাল-১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম খানের ছেলে) আরাফাত বিল্লাহ খান।
বাবা জামায়াতের প্রার্থী, ছেলে ভোট চাইলেন বিএনপি প্রার্থীর
- প্রকাশকাল ০৬:৫১:০৫ এএম, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ২ পাঠক
আমি এ বিএনপিকে জেনে শুনে ভালোবাসি, জেনে শুনে, বুঝে রাজনীতি করি। ২০১৮ সালে স্বপন (বরিশাল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন) ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলাম। আমি আপনাদের সামনে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আমি আমার জীবনের শেষ পর্যন্ত ইনশাল্লাহ এই জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাস করবো, এখানেই থাকবো, এর বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই।
অপরদিকে, এ ঘটনার পর ৮ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম খান নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, “আমাকে পিতা পরিচয় দিয়ে ৭ নভেম্বর গৌরনদী পাইলট স্কুল মাঠে বিএনপির পক্ষ নিয়ে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তাতে কেউ হতাশ হবেন না। আমি আজ চিকিৎসা শেষে ঢাকা থেকে বাসায় ফিরে দুই উপজেলার আমির, আসন পরিচালক ও অন্যান্য নেতাদেরকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব, ইনশাল্লাহ। আমরা যখন দাঁড়িপাল্লা মার্কা নিয়ে মাঠে নেমেছি, বিজয়ের মালা জামায়াতে ইসলামীর হবেই হবে”।
সমালোচকদের কাছ থেকে পাওয়া ডিলেট করা ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন-“আমার বড় ছেলে আরাফাতকে শিবির করার জন্য অনেক বুঝিয়েছি, অনেক চাপ সৃষ্টি করেছি কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। তাকে দিয়ে শিবির করাতে পারিনি। আমি একজন ব্যর্থ পিতা। আমার বড় ছেলের সঙ্গে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার জন্য”।
তবে তিনি আরও জানিয়েছেন, আমার ছেলে বক্তব্যে যাই বলুক না কেন তাতে ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না।
















