ঢাকা ০৮:২৩ এএম, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নড়াইলে ৬ মাসে ১১ খুন, গরুর ঘাস খাওয়ানো নিয়েও হয় মারামারি

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ১২:২৩:৩৩ পিএম, সোমবার, ৩১ মে ২০২১ ২৯০ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নড়াইলে সহিংস ঘটনা বেড়েই চলেছে। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করেও মারামারির ঘটনা ঘটছে। গত ছয় মাসে জেলায় ১১ জনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

সহিংসতার পর বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, জোরপূর্বক ফসল কেটে নেয়া এবং আসামি পক্ষকে বাড়িতে উঠতে না দেয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। এসব সহিংস ঘটনার বেশ কয়েকটিতে ১৫-২১ বছরের কিশোর ও তরুণরা জড়িত বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২১ মে। ওইদিন গভীর রাতে পেড়লি ইউনিয়নের জামরিলডাঙ্গা গ্রামের নুরুল খন্দকারের স্ত্রী ছালেহা বেগম (৭৫) বাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা তাকে পুড়িয়ে হত্যা করে। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর এই বৃদ্ধার ছেলে আরিফ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন।

৮ মে তুলারামপুর ইউনিয়নের মালিডাঙ্গা গ্রামে স্বামী কর্তৃক নববধূ স্ত্রী মিম সুলতানাকে (১৯) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ২৫ এপ্রিল কালিয়া পৌরসভার বড়কালিয়া এলাকার সাদাত ব্যাপারির ছেলে রুবেল ব্যাপারি (২৮) নিহত হন।

১৯ এপ্রিল লোহাগড়া উপজেলার বাতাসি গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) সালাউদ্দিন (৪৮) ছোটভাই জসিম উদ্দিনের লাঠির আঘাতে খুন হন।

২০ ফেব্রুয়ারি পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের মহিষখোলার আবুল হোসেনের ছেলে আল আমিন (২৮) এক সংঘর্ষে খুন ও অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় আসামি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হকসহ ৩০-৩৫টি পরিবারের পুরুষরা এলাকাছাড়া।

১৬ ফেব্রুয়ারি হবখালী ইউনিয়নের চর-সিংঙ্গিয়া গ্রামে শফিয়ার মোল্যার ছেলে সাবু মোল্যা (৩২) খুন হন। ১৯ জানুয়ারি পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের মোজাফফর ফারাজির ছেলে আজমল ফারাজি (৪৫) জেলার সারুলিয়া এলাকায় নবগঙ্গা নদীতে বালুর ট্রলারে বালু উত্তোলনের সময় রহস্যজনকভাবে নিহত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নড়াইলে ৬ মাসে ১১ খুন, গরুর ঘাস খাওয়ানো নিয়েও হয় মারামারি

প্রকাশকাল ১২:২৩:৩৩ পিএম, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

নড়াইলে সহিংস ঘটনা বেড়েই চলেছে। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করেও মারামারির ঘটনা ঘটছে। গত ছয় মাসে জেলায় ১১ জনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

সহিংসতার পর বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, জোরপূর্বক ফসল কেটে নেয়া এবং আসামি পক্ষকে বাড়িতে উঠতে না দেয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। এসব সহিংস ঘটনার বেশ কয়েকটিতে ১৫-২১ বছরের কিশোর ও তরুণরা জড়িত বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২১ মে। ওইদিন গভীর রাতে পেড়লি ইউনিয়নের জামরিলডাঙ্গা গ্রামের নুরুল খন্দকারের স্ত্রী ছালেহা বেগম (৭৫) বাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা তাকে পুড়িয়ে হত্যা করে। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর এই বৃদ্ধার ছেলে আরিফ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন।

৮ মে তুলারামপুর ইউনিয়নের মালিডাঙ্গা গ্রামে স্বামী কর্তৃক নববধূ স্ত্রী মিম সুলতানাকে (১৯) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ২৫ এপ্রিল কালিয়া পৌরসভার বড়কালিয়া এলাকার সাদাত ব্যাপারির ছেলে রুবেল ব্যাপারি (২৮) নিহত হন।

১৯ এপ্রিল লোহাগড়া উপজেলার বাতাসি গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) সালাউদ্দিন (৪৮) ছোটভাই জসিম উদ্দিনের লাঠির আঘাতে খুন হন।

২০ ফেব্রুয়ারি পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের মহিষখোলার আবুল হোসেনের ছেলে আল আমিন (২৮) এক সংঘর্ষে খুন ও অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় আসামি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হকসহ ৩০-৩৫টি পরিবারের পুরুষরা এলাকাছাড়া।

১৬ ফেব্রুয়ারি হবখালী ইউনিয়নের চর-সিংঙ্গিয়া গ্রামে শফিয়ার মোল্যার ছেলে সাবু মোল্যা (৩২) খুন হন। ১৯ জানুয়ারি পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের মোজাফফর ফারাজির ছেলে আজমল ফারাজি (৪৫) জেলার সারুলিয়া এলাকায় নবগঙ্গা নদীতে বালুর ট্রলারে বালু উত্তোলনের সময় রহস্যজনকভাবে নিহত হন।