ঢাকা ০৫:২৪ এএম, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য, আয়মান সাদিক প্রসঙ্গে পলক

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৬:৫০:৪০ এএম, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৩৮ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের নিবন্ধন, অফিস ও ডেটা সেন্টার স্থাপন করা এবং বাংলাদেশের নাগরিক ও রাষ্ট্রের তথ্য বাংলাদেশেই রাখার জন্য বাধ্য করা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

 

 

বাংলাদেশের ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর লিয়াঁজো অফিস করা যায় কিনা- এ প্রশ্নে পলক বলেন, ফেসবুকে বাংলাদেশে যে ব্যবহারকারীর সংখ্যা তা অনেক বড়। বৈধ এবং অবৈধভাবে যে আয় করে, অবৈধ পথে যেটা আয় করে সেটা অবৈধ। ফেসবুকে বৈধ-অবৈধ পথে আয় করে সেটা বিবেচনায় বাংলাদেশকে তাদের আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের আইন, ধর্মীয় মূল্যবোধ, নিরাপত্তা-শৃঙ্খলা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত। সেই সব বিবেচনায় আমরা বহুবার বলেছি। আমরা লক্ষ্য করছি তারা কিন্তু শুধু বৈধ এবং অবৈধ আয়ের দিকে আগ্রহী কিন্তু বাংলাদেশর জন্য তাদের সে রকম দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ দেখছি না।

তিনি বলেন, ‘আমি আবারও আপনাদের মাধ্যমে বলছি, আমরা আবারও আনুষ্ঠানিকভাবে-দাপ্তরিকভাবে তাদের লিখব যেন তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের তাদের অফিস, তাদের ডেটা সেন্টার তাদের সকল কার্যক্রম নিবন্ধিত করেন এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য-উপাত্ত যেন বাংলাদেশের মাটিতেই রাখে। ’

পলক বলেন, আমাদের তথ্য-উপাত্ত আমাদের অজান্তে ব্যবহার করছে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য। আমরা কোনটা পছন্দ করি, কোন রেস্টুরেন্টে খাই, কোন ধরনের গান শুনতে পছন্দ করি, কোন সিনেমা দেখি, কোন ধরনের পোস্ট আমি দেই, কোন ধরনের পোশাক পরি- এই ধরনের তথ্য-উপাত্তগুলো তারা গোপনে সংগ্রহ করে আমাদের সামনে বিজ্ঞাপনগুলো প্রদর্শন করে। যে বিজ্ঞাপনগুলো থেকে তারা আয় করে তার কিন্তু কোনো অংশীদারত্ব পাই না। আমার যে তথ্য তারা গোপনে সংগ্রহ করে দিচ্ছে সেটাও আমাদের অনুমতি ছাড়া হচ্ছে।

এটা কিন্তু আইনগতভাবে অপরাধ, মানবিকভাবেও অমানবিক অপরাধ এবং আমাদের নাগরিকদের জন্য স্পর্শকাতর-সেনসেটিভ তথ্য-উপাত্ত তারা যে দিচ্ছে এবং ব্যবহার করছে ব্যবসায়িক স্বার্থে এবং বৈধ-অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে তারা অর্থ উপার্জন করছে এগুলো মেনে নেওয়া যায় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পলক বলেন, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, সবাইকে বাংলাদেশে তাদের নিবন্ধন করা এবং অফিস ওপেন করা, ডেটা সেন্টার স্থাপন করা এবং বাংলাদেশের নাগরিক, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান সবকিছুর ডেটা দেশেই রাখার জন্য তাদেরকে বাধ্য করা হবে।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য, আয়মান সাদিক প্রসঙ্গে পলক

প্রকাশকাল ০৬:৫০:৪০ এএম, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের নিবন্ধন, অফিস ও ডেটা সেন্টার স্থাপন করা এবং বাংলাদেশের নাগরিক ও রাষ্ট্রের তথ্য বাংলাদেশেই রাখার জন্য বাধ্য করা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

 

 

বাংলাদেশের ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর লিয়াঁজো অফিস করা যায় কিনা- এ প্রশ্নে পলক বলেন, ফেসবুকে বাংলাদেশে যে ব্যবহারকারীর সংখ্যা তা অনেক বড়। বৈধ এবং অবৈধভাবে যে আয় করে, অবৈধ পথে যেটা আয় করে সেটা অবৈধ। ফেসবুকে বৈধ-অবৈধ পথে আয় করে সেটা বিবেচনায় বাংলাদেশকে তাদের আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের আইন, ধর্মীয় মূল্যবোধ, নিরাপত্তা-শৃঙ্খলা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত। সেই সব বিবেচনায় আমরা বহুবার বলেছি। আমরা লক্ষ্য করছি তারা কিন্তু শুধু বৈধ এবং অবৈধ আয়ের দিকে আগ্রহী কিন্তু বাংলাদেশর জন্য তাদের সে রকম দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ দেখছি না।

তিনি বলেন, ‘আমি আবারও আপনাদের মাধ্যমে বলছি, আমরা আবারও আনুষ্ঠানিকভাবে-দাপ্তরিকভাবে তাদের লিখব যেন তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের তাদের অফিস, তাদের ডেটা সেন্টার তাদের সকল কার্যক্রম নিবন্ধিত করেন এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য-উপাত্ত যেন বাংলাদেশের মাটিতেই রাখে। ’

পলক বলেন, আমাদের তথ্য-উপাত্ত আমাদের অজান্তে ব্যবহার করছে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য। আমরা কোনটা পছন্দ করি, কোন রেস্টুরেন্টে খাই, কোন ধরনের গান শুনতে পছন্দ করি, কোন সিনেমা দেখি, কোন ধরনের পোস্ট আমি দেই, কোন ধরনের পোশাক পরি- এই ধরনের তথ্য-উপাত্তগুলো তারা গোপনে সংগ্রহ করে আমাদের সামনে বিজ্ঞাপনগুলো প্রদর্শন করে। যে বিজ্ঞাপনগুলো থেকে তারা আয় করে তার কিন্তু কোনো অংশীদারত্ব পাই না। আমার যে তথ্য তারা গোপনে সংগ্রহ করে দিচ্ছে সেটাও আমাদের অনুমতি ছাড়া হচ্ছে।

এটা কিন্তু আইনগতভাবে অপরাধ, মানবিকভাবেও অমানবিক অপরাধ এবং আমাদের নাগরিকদের জন্য স্পর্শকাতর-সেনসেটিভ তথ্য-উপাত্ত তারা যে দিচ্ছে এবং ব্যবহার করছে ব্যবসায়িক স্বার্থে এবং বৈধ-অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে তারা অর্থ উপার্জন করছে এগুলো মেনে নেওয়া যায় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পলক বলেন, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, সবাইকে বাংলাদেশে তাদের নিবন্ধন করা এবং অফিস ওপেন করা, ডেটা সেন্টার স্থাপন করা এবং বাংলাদেশের নাগরিক, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান সবকিছুর ডেটা দেশেই রাখার জন্য তাদেরকে বাধ্য করা হবে।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।