বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার
- প্রকাশকাল ০৩:৫৮:৪৩ এএম, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪ ২০২ পাঠক
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ববি শাখার সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ লিখিত বক্তব্য দাবিগুলো তুলে ধরেন। দাবি গুলো হল- অনতিবিলম্বে হল খুলে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণকে কোনো ধরনের মামলা বা হয়রানি করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও ক্যাম্পাস খোলার পর ক্যাম্পাসের নিরাপদ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায় আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগ তা অনুসরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দেশব্যাপী নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের অনেক ভাই-বোন আহত ও নিহত হয়েছে।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কারো অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে চাইনি। নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবির প্রেক্ষিতে যে সমাধন করেছে, আমরা মনে করি তাতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। আমরা অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী এবং আমাদের উপর্যুক্ত দাবিসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ও নানা বাস্তবতায় আমাদের কোন কর্মসূচি নেই।
সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় জানাবো। পরিশেষে, আমরা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছি যে, সন্ত্রাস ও সহিংসতার সাথে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং এটাকে আমরা ঘৃণা করি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সমন্বয়করা হলেন- মাহমুদুল আলম রাজিব, ভূমিকা সরকার, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
















