ঢাকা ০২:৪৮ পিএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে ভিডিও কনফারেন্সে জেএমবি সদস্যের হাজিরা

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৫:৪৯:৪৬ এএম, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪ ১১৮ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরিশালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেএমবির সদস্যকে আদালতে উপস্থাপন করে হাজিরা গ্রহণ করা হয়েছে।

বরিশালের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে হাজিরা গ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান।

 

হাজিরা গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোস্তফা পাভেল হায়দার।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেওয়া ওই জেএমবি সদস্য হলেন-আতিকুর রহমান ওরফে বাবু ওরফে শাওন ওরফে সাইফুল্লাহ। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ মোড়খালী এলাকার মৃত গোলাম কবির মাতব্বরের ছেলে।

ট্রাইব্যুনালের বিচারকের পিএ কাওসার হোসেন টিটু জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে কারান্তরীণ জেএমবি সদস্য বাবুকে আদালতে আনা হয়নি। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, র‌্যাবের করা পৃথক দুইটি মামলার চার্জশিটভুক্ত মামলার আসামি জেএমবি সদস্য বাবু। দুইটি মামলায় রোববার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ধার্যদিনে তাকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা নিয়েছেন আদালত।

মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানান, ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট নগরীর দরগা বাড়ী এলাকায় অভিযান করে র‌্যাব-৮ এর একটি দল। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১২ জনের একটি দল পালিয়ে যায়। এ সময় বিদেশি পিস্তল, গুলি, ব্যাটারি, সার্কিটসহ জিহাদী বইসহ জেএমবির এক সদস্যকে আটক করে। এ ঘটনায় পরদিন ১ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের ডিএডি লুৎফর রহমান বাদী হয়ে নামধারী ৬জনসহ অজ্ঞাত আরও ৬ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে। ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আতিকুর রহমান বাবু।

মামলার এক মাস পর ২৯ সেপ্টেম্বর নগরের জিয়া সড়ক নয়াকান্দা এলাকায় র‌্যাব-৮ এর আরেকটি দল অভিযান করে। ওই দলটি বিদেশি পিস্তল, জিহাদি বই, দুইটি পাসপোর্টসহ জেএমবি সদস্য আতিকুর রহমান বাবুকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি মডেল থানায় র‌্যাবের ডিএডি মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেছেন। দুইটি মামলা বর্তমানে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতায় দেশের পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে জঙ্গি সদস্যদের কারাগারে রেখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালত পরিচালনাকে স্বাগত জানিয়েছে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা।

বর্তমানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ৬টি নাশকতার মামলা চলমান আছে বরিশাল সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বরিশালে ভিডিও কনফারেন্সে জেএমবি সদস্যের হাজিরা

প্রকাশকাল ০৫:৪৯:৪৬ এএম, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

বরিশালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেএমবির সদস্যকে আদালতে উপস্থাপন করে হাজিরা গ্রহণ করা হয়েছে।

বরিশালের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে হাজিরা গ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান।

 

হাজিরা গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোস্তফা পাভেল হায়দার।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেওয়া ওই জেএমবি সদস্য হলেন-আতিকুর রহমান ওরফে বাবু ওরফে শাওন ওরফে সাইফুল্লাহ। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ মোড়খালী এলাকার মৃত গোলাম কবির মাতব্বরের ছেলে।

ট্রাইব্যুনালের বিচারকের পিএ কাওসার হোসেন টিটু জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে কারান্তরীণ জেএমবি সদস্য বাবুকে আদালতে আনা হয়নি। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, র‌্যাবের করা পৃথক দুইটি মামলার চার্জশিটভুক্ত মামলার আসামি জেএমবি সদস্য বাবু। দুইটি মামলায় রোববার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ধার্যদিনে তাকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা নিয়েছেন আদালত।

মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানান, ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট নগরীর দরগা বাড়ী এলাকায় অভিযান করে র‌্যাব-৮ এর একটি দল। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১২ জনের একটি দল পালিয়ে যায়। এ সময় বিদেশি পিস্তল, গুলি, ব্যাটারি, সার্কিটসহ জিহাদী বইসহ জেএমবির এক সদস্যকে আটক করে। এ ঘটনায় পরদিন ১ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের ডিএডি লুৎফর রহমান বাদী হয়ে নামধারী ৬জনসহ অজ্ঞাত আরও ৬ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে। ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আতিকুর রহমান বাবু।

মামলার এক মাস পর ২৯ সেপ্টেম্বর নগরের জিয়া সড়ক নয়াকান্দা এলাকায় র‌্যাব-৮ এর আরেকটি দল অভিযান করে। ওই দলটি বিদেশি পিস্তল, জিহাদি বই, দুইটি পাসপোর্টসহ জেএমবি সদস্য আতিকুর রহমান বাবুকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি মডেল থানায় র‌্যাবের ডিএডি মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেছেন। দুইটি মামলা বর্তমানে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতায় দেশের পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে জঙ্গি সদস্যদের কারাগারে রেখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালত পরিচালনাকে স্বাগত জানিয়েছে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা।

বর্তমানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ৬টি নাশকতার মামলা চলমান আছে বরিশাল সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে।