ঢাকা ০৬:০৪ পিএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যু

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০২:৩৩:৫৭ এএম, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪ ১৪২ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিশু আয়শা সদর উপজেলার গুলি গ্রামের শাহাদাত হোসেন ও নুরজাহান বেগম দম্পতির তৃতীয় সন্তান।

মৃত শিশুর বাবা শাহাদাত হোসেন জানান, বাড়িতে তার ১৪ দিনের শিশুকন্যা আয়েশা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শনিবার (২৪ আগস্ট) ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জন্ডিস আক্রান্ত হওয়ায় ওই শিশুকে স্ক্যানুতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী শিশুকে ইনজেকশন ও থেরাপিও দেয়া হয়।

তবে রোববার বিকেলে শিশুর শারীরিক অবস্থান উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে নার্সরা সোমবার (২৮ আগস্ট) তাকে ছাড়পত্র দেয়ার কথাও বলছিলেন। কিন্তু সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় শিশুর মৃত্যু হয়।

শিশুর মা নুরজাহান বেগম জানান, রোববার বিকেল থেকেই শিশুটির খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ডিউটিতে থাকা নার্সদের জানালে, তারা তেমন গুরুত্ব দেননি। সোমবার সকালে ইনজেকশন তার রক্তক্ষরণ হয়।

তাদের দাবি, হাসাপাতালে শিশুর যথাযথ চিকিৎসা হয়নি। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের সিঁড়িতে বসে আহাজারি করছেন শিশুর মা। কোনো সান্তনাই মানছে না মায়ের মন। ওই মৃত সন্তানকে নিয়ে চলছে তার বিলাপ।

তবে অবহেলার কথা অস্বীকার করে সিনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. মো. সালাহ উদ্দিন জানান, রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। জন্ডিস থেকে ইনফেকশন হয়েছিল, সেটা থেকে কাটিয়ে উঠতে পারেনি শিশুটি।

এ বিষয়ে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভোলায় চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যু

প্রকাশকাল ০২:৩৩:৫৭ এএম, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

শিশু আয়শা সদর উপজেলার গুলি গ্রামের শাহাদাত হোসেন ও নুরজাহান বেগম দম্পতির তৃতীয় সন্তান।

মৃত শিশুর বাবা শাহাদাত হোসেন জানান, বাড়িতে তার ১৪ দিনের শিশুকন্যা আয়েশা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শনিবার (২৪ আগস্ট) ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জন্ডিস আক্রান্ত হওয়ায় ওই শিশুকে স্ক্যানুতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী শিশুকে ইনজেকশন ও থেরাপিও দেয়া হয়।

তবে রোববার বিকেলে শিশুর শারীরিক অবস্থান উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে নার্সরা সোমবার (২৮ আগস্ট) তাকে ছাড়পত্র দেয়ার কথাও বলছিলেন। কিন্তু সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় শিশুর মৃত্যু হয়।

শিশুর মা নুরজাহান বেগম জানান, রোববার বিকেল থেকেই শিশুটির খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ডিউটিতে থাকা নার্সদের জানালে, তারা তেমন গুরুত্ব দেননি। সোমবার সকালে ইনজেকশন তার রক্তক্ষরণ হয়।

তাদের দাবি, হাসাপাতালে শিশুর যথাযথ চিকিৎসা হয়নি। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের সিঁড়িতে বসে আহাজারি করছেন শিশুর মা। কোনো সান্তনাই মানছে না মায়ের মন। ওই মৃত সন্তানকে নিয়ে চলছে তার বিলাপ।

তবে অবহেলার কথা অস্বীকার করে সিনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. মো. সালাহ উদ্দিন জানান, রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। জন্ডিস থেকে ইনফেকশন হয়েছিল, সেটা থেকে কাটিয়ে উঠতে পারেনি শিশুটি।

এ বিষয়ে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।