ঢাকা ০৭:১৭ পিএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক এমপি নিক্সনের সস্ত্রীক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০৪:৫৯:০২ এএম, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৮৮ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী, তার স্ত্রী তারিন হোসেনসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের পৃথক তিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব)-এর আদালত এ আদেশ দেন।

 

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে আলোচিত পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী সদস্য মো. খাইরুল ইসলাম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম আসামি নিক্সন ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেন গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তদন্তকাজ চলমান থাকা অবস্থায় তারা দেশত্যাগ করলে সার্বিক তদন্তকাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় তদন্তকাজ চলমান থাকা অবস্থায় দেশত্যাগ করতে না পারেন সেজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

এর আগে নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের ব্যাংক হিসাবে তিন হাজার ১৬২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন এবং প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৯ জানুয়ারি পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।

এদিকে প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে আলোচিত সেই আবেদ আলীর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন।

আবেদনে বলা হয়, আবেদ আলীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও (৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আসামির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

আর দুদকের সহকারী পরিচালক (মানিলন্ডারিং) এস এম মামুনুর রশীদ খাইরুলের বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামি খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সম্পত্তি জামানত হিসেবে মর্টগেজ দিয়ে বেসিক ব্যাংক লিমিটেড কারওয়ান বাজার শাখা থেকে দশ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

শুনানি শেষে আদালত এসব আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাবেক এমপি নিক্সনের সস্ত্রীক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশকাল ০৪:৫৯:০২ এএম, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী, তার স্ত্রী তারিন হোসেনসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের পৃথক তিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব)-এর আদালত এ আদেশ দেন।

 

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে আলোচিত পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী সদস্য মো. খাইরুল ইসলাম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম আসামি নিক্সন ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেন গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তদন্তকাজ চলমান থাকা অবস্থায় তারা দেশত্যাগ করলে সার্বিক তদন্তকাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় তদন্তকাজ চলমান থাকা অবস্থায় দেশত্যাগ করতে না পারেন সেজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

এর আগে নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের ব্যাংক হিসাবে তিন হাজার ১৬২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন এবং প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৯ জানুয়ারি পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।

এদিকে প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে আলোচিত সেই আবেদ আলীর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন।

আবেদনে বলা হয়, আবেদ আলীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও (৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আসামির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

আর দুদকের সহকারী পরিচালক (মানিলন্ডারিং) এস এম মামুনুর রশীদ খাইরুলের বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামি খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সম্পত্তি জামানত হিসেবে মর্টগেজ দিয়ে বেসিক ব্যাংক লিমিটেড কারওয়ান বাজার শাখা থেকে দশ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

শুনানি শেষে আদালত এসব আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।