হকির যে স্টেডিয়াম ছিল শামসুল বারীর দ্বিতীয় ঘর, সেখানে তিনি শেষবার এসেছিলেন মঙ্গলবার দুপুরে। তাও অন্যের কাঁধে চড়ে। হকির কিংবদন্তী সংগঠকের নিথর দেহটি যখন মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে কাঁধে করে নিয়ে আসা হলো তখনে সেখানে তৈরি এক আবেগঘন পরিবেশ।
বাংলাদেশের হকি আর শাসমুল বারী অবিচ্ছেদ্য এক নাম। দেড় যুগ ছিলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। তার আগে চার বছর ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক। খেলোয়াড়ী জীবনে ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান দলের সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু প্রাপ্ত ও দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষিয়ান এই সংগঠক চলে যাওয়ায় দেশের হকি অঙ্গনে তৈরি হবে বিশাল এক শূণ্যতা।
মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে শামসুল বারীর জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে বনানী কবরস্থানে। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহসভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার, জাকি আহমেদ রিপনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং হকি অঙ্গনের মানুষ শামসুল বারীকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফুল দিয়ে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন শামসুল বারী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। শামসুল বারীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে।