বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো এক টুইটে এমন দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মেসি ও পিএসজির সম্পর্ক শেষের পথে। আগামী জুনেই সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী প্যারিস ছাড়বেন। তবে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নাকি আরও এক মাস আগেই পিএসজিকে অবগত করেছেন মেসির বাবা হোর্হে মেসি। কারণ তাকে নিয়ে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের পরিকল্পনা নাকি মেসির পছন্দ হয়নি। তাছাড়া সমর্থকদের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভালো নয়। মাঠে প্রায়ই তাকে দুয়ো শুনতে হয়।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ অনুযায়ী, দুইবার পিছিয়ে দেওয়ার পর গত সোমবার সৌদি আরব সফরে গেছেন মেসি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পর্যটন বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সেই চুক্তি অনুযায়ীই লরিয়ের বিপক্ষে পিএসজি ৩-১ ব্যবধানে হারের পর সৌদি আরবে যান মেসি। ক্লাবের সোমবারের নির্ধারিত অনুশীলনেও যোগ দেননি তিনি।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্ট জানিয়েছে, ‘না জানিয়ে’ সৌদি সফরে যাওয়ায় মেসির ওপর খেপেছে পিএসজি। ক্লাবের এ পরিস্থিতিতে মেসির ছুটিতে থাকা মেনে নিতে পারেননি পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের, স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস ওকাম্পোস ও সভাপতি নাসের আল খেলাইফি। তাই মেসির ওপর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনেছে পিএসজি।
শাস্তি হিসেবে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফরাসি ক্লাবটি। আগামী দুই সপ্তাহ দলের সঙ্গে কোনো অনুশীলন করা বা ম্যাচ খেলা থেকে বিরত থাকবেন মেসি৷ নিষিদ্ধ সময়ে ক্লাব থেকে কোনো পারিশ্রমিকও পাবেন না এ ফরোয়ার্ড।
আগামী দুই সপ্তাহে দুটো লিগ ম্যাচ খেলবে পিএসজি। লিগ ওয়ানে বেশ কদিন ধরেই অম্ল-মধুর সময় কাটাচ্ছে তারা। যদিও ৩৩ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে দলটি।
এদিকে এ নিষেধাজ্ঞার ফলে আগামী মৌসুমে পিএসজিতে নাও থাকতে পারেন মেসি। তার ভবিষ্যৎ গন্তব্য নিয়ে চলা জল্পনাকল্পনা এখন নতুন এক মোড় নিল। অনেকদিন আগে থেকেই সৌদি আরবের পর্যটন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন মেসি। পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, গত সোমবার দেশটিতে ভ্রমণে যান তিনি। সৌদি সফরের বিভিন্ন আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ারও করছেন তিনি। সবমিলিয়ে এই জুনেই প্যারিসিয়ানদের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ একপ্রকার চূড়ান্ত।