0 Comments

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তেমন প্রস্তুতির সময় পায়নি বাংলাদেশ। মিয়ানমারে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব শেষে একদিন বিরতি নিয়ে মাঠে নামে আফঈদা খন্দকার, মোসাম্মৎ সাগরিকার দল।

এরপর প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশানুযায়ী জয় তুলে নেয় পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
এই টুর্নামেন্টে একদিন বিরতি দিয়ে খেলছে বাংলাদেশ দল। তবে ম্যাচের পরদিন কোনো অনুশীলন করছে না তারা। ক্লান্তি দূর করতে প্রতিদিন শুধু রিকভারি সেশন ও সুইমিংই চালিয়ে যাচ্ছে টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকে। সেই রুটিন মেনে আজও অনুশীলন করেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফুরফুরে মেজাজে কাটিয়ে আগামীকাল মাঠে নামছে ভুটানের বিপক্ষে।

শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকতে বাংলাদেশ ও নেপালের পর তৃতীয় দল হিসেবে ভুটানও ঢুকতে পারে কি না, নাকি আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ—এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। আগামীকাল (বুধবার) বেলা ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে, যা সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।

চার দলের এই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। প্রতিটি দল ছয়টি করে ম্যাচ খেলবে। পয়েন্ট টেবিলে সর্বোচ্চে থাকা দলই হবে চ্যাম্পিয়ন।

দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর রোববার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে তৃষ্ণা রানীর শেষ মুহূর্তের গোলে নেপালকে ২-১ ব্যবধানে হারায় বাটলারের দল। অপরদিকে, নেপাল ও ভুটান সমান ৩ পয়েন্টে রয়েছে। শিরোপার পথ এখনো অনেক দূরের হলেও ভুটানকে হারাতে পারলে এক ধাপ আরও এগিয়ে যাবে লাল-সবুজের মেয়েরা।

প্রথম লেগে ভুটানকে ৬-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল নেপাল। সে অনুযায়ী কাগজে-কলমে ভুটান বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি হওয়ার কথা নয়। তারপরও প্রতিটি ম্যাচকেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।

দলের ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা বলেন, ‘এখন আমাদের সামনে চারটি ম্যাচ আছে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাই। আপাতত ফোকাস ভুটান ম্যাচে। ’ ইনজুরির ঝুঁকি থাকলেও তা খুব বড় কোনো সমস্যা নয় বলেও জানান তিনি।

দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। মাঠের অনুশীলন না থাকলেও কোচের পরিকল্পনায় মনোযোগী তারা। আফঈদা বলেন, ‘গতকাল নেপালের সঙ্গে আমরা জিতেছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আমরা শুধু রিকভারি সেশন করেছি, সকালে সুইমিং করেছি, খুব উপভোগ করেছি। সন্ধ্যায় কোচ আমাদের পরিকল্পনা জানাবেন, সেটাই আমরা মাঠে প্রয়োগ করব ইনশাআল্লাহ। ’

ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেরা একাদশে একটি বড় ঘাটতি থাকবে। কারণ, নেপাল ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সাগরিকা। এই প্রতিযোগিতায় এরই মধ্যে হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল করেছেন তিনি। তাকে ছাড়া খেলতে হবে দলকে।

এদিকে, বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় নেপাল মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার, যারা এখনো কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি। বাংলাদেশের চেয়ে ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা নেপালের লক্ষ্য হবে পরের দুটি ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ২১ জুলাই বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচকে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে রূপ দেওয়া।

ধরে নেওয়া যাক, শেষ ম্যাচের আগে দুই দলের পয়েন্টের ব্যবধান তিনই থাকে। সে ক্ষেত্রে ড্র করলেই শিরোপা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ। তবে পয়েন্ট সমান হলে গোল গড়েও হতে পারে হিসাব। দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ গোল দিয়েছে ১২টি, হজম করেছে ৩টি। নেপাল দিয়েছে ৭ গোল, হজম করেছে ৪টি। সেই বিবেচনায় গোল পার্থক্যেও এগিয়ে বাংলাদেশ।

এখন দেখার বিষয়, আগামীকাল ভুটান ম্যাচে কতটা দাপট দেখাতে পারে স্বপ্না-আফঈদারা। আর শিরোপা দৌড়ে লড়াইটা কি থেকে যাবে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যেই, নাকি সেখানে ঢুকে পড়বে তিন পয়েন্ট পাওয়া ভুটান? উত্তর মিলবে শিগগিরই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts